ভারতের ক্ষেত্রে হিসেবটা অন্যরকম হলেও, সারা পৃথিবীতে অর্ধেকের বেশি মানুষ শহর বা শহরাঞ্চলেই বসবাস করেন। মাওরি ভাষায় নিউজিল্যান্ডের নাম যতই আউতেরোয়া (দীর্ঘ মেঘের উপত্যকা) হোক, দেশটার ৮৬% লোকের বসতি শহরে। সুতরাং নগরজীবনে বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত ভালো-থাকা আর সামগ্রিকভাবে এই গ্রহের ভালো-থাকার মধ্যে একটা স্পষ্ট স্থায়ী যোগসূত্র অবশ্যই তৈরি হওয়া উচিৎ।
বিবর্তনপন্থী জীববিজ্ঞানী স্টিফেন গুল্ড তর্ক ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, বিশেষ কিছু প্রজাতি আর পরিবেশ বাঁচানোর কাজটা একেবারেই যান্ত্রিক নয়। প্রকৃতির সাথে অকৃত্রিম ভালবাসার বন্ধন তৈরি না হলে সংরক্ষণের উদ্যোগ শ্রেফ মাঠে মারা যাবে। যা আমরা ভালবাসি না, তা বাঁচাতে লড়াই কীভাবেই বা করবো?
বিজ্ঞানী গুল্ডের গবেষণাপত্রে মুখ্যত হ্যামিল্টন শহরটার বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানকার নগর পরিষদ ১১৪২ হেক্টর জমি ফাঁকা ছেড়ে দিয়েছে। তার মধ্যে ২০০-র বেশি পার্ক আর সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। ২০১৯ সালে পরিষদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল – অন্তত ৮০% বাড়ির ৫০০ মিটারের মধ্যেই যেন কম করে একটা উদ্যান থাকে।
মূলত তিন প্রকারের গাছগাছালির স্তর আছে। স্টিফেন গুল্ড লিখেছেন তাঁর গবেষণাপত্রে। প্রথমটা, ব্যক্তিগত উদ্যান। দ্বিতীয়, স্থানীয় গাছগাছড়া নিয়ে তৈরি ঝোপঝাড়। তারপরে আসে, বাইরে থেকে আনা বিপন্ন বিশেষ প্রজাতির গাছ, যা বড়ো আয়তনের বাগানের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে।