সময়টা নিশ্চিতভাবেই সুখের নয়। মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতে যুদ্ধের হ্যাপা। একাধিক দেশে জনতা বনাম সরকার, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা। এদিকে আবার শক্তিশালী লা নিনার দাপট চলছে পরপর কয়েক বছর। খাদ্যসংকটের পরিস্থিতি অসম্ভব ছিল না। কিন্তু বাস্তবটা একেবারেই উল্টো। ধান, গম আর ভুট্টা উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি হল। ২০২৩/২৪ সালে খাদ্যশস্যের উৎপাদন পৃথিবীব্যাপী খাদ্যশস্যের ভোগকে ছাপিয়ে যাবে, এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে বিশ্বখ্যাত দুই সংস্থা।
বিশ্ব জুড়ে ভুট্টা উৎপাদনের পরিমাণ ভালই বাড়বে। কারণ, ব্রাজিলে ক্রমাগত ভুট্টার চাষ বাড়ছে। এদিকে আমেরিকা আর আর্জেন্টিনাতেও নতুন করে ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে।
গমের ক্ষেত্রে আবার উৎপাদন আর চাহিদা দুটোই সুবিশাল মাত্রায় হয়। আর্জেন্টিনা, ক্যানাডা, চীন, ইউরোপ, ভারতবর্ষ আর তুরস্কে গমের উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা। কাজাখাস্তান, রাশিয়া আর ইউক্রেনে গম উৎপাদন অনেকটা নিচের দিকে হলেও বাকি দেশগুলো সেই ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারবে বলেই আশা কৃষি-বিশেষজ্ঞদের।
ধানের ক্ষেত্রে দায়িত্বটা মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর। ভারত, বাংলাদেশ, চীনে তো উৎপাদন বৃদ্ধির আশা আছেই, পাকিস্তানও বন্যার পর ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।