খাবারের সন্ধানে মূলত দিনের বেলাতেই বের হয় মৌমাছির দল। মথের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো, ওরা বেরোয় রাতে। কিন্তু সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, নিশাচর মথের পরাগমিলনের দক্ষতা দিবালোকের মৌমাছিদের চেয়ে বেশি। প্লস ওয়ান পত্রিকায় গত মাসে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।
মৌমাছি বা প্রজাপতির মতো স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক পরাগসংযোগকারী পতঙ্গদের সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। সাসেক্সের গবেষকদের নজর ছিল এই দিকটাতেই। কিন্তু সেই গবেষণার সময়েই জানা গেছে, পরাগমিলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মথের।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বভাগের ১০টা নির্দিষ্ট অঞ্চলে ২০২১ সালের জুলাই থেকে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। পতঙ্গদের মধ্যে ৮৩% দিনের বেলা ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়। সেই সময় পরাগসংযোগও ঘটে। কিন্তু তুলনায় মথের আনাগোনা কম। তবে রাতের দিকে অনেক দ্রুত দক্ষতার সাথে তারা পরাগমিলন ঘটাতে সক্ষম।
এতদিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল মৌমাছি বা ওই গোত্রের অন্য পতঙ্গরা হয়তো পরাগমিলনের ব্যাপারে বেশি পরিশ্রমী। কিন্তু এই পর্যবেক্ষণ থেকে পুরনো ধারণা বদলে গেছে। দিনের বেলার পতঙ্গদের ক্ষেত্রে সময়ও বেশি থাকে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগ বয়ে নিয়ে যাওয়ার। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ জীববিদ্যার অধ্যাপিকা ফিওনা ম্যাথিউজ বলছেন, মৌমাছিদের একচেটিয়ার দিন শেষ হল।