একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় রিপোর্ট করা হয়েছে, যখন আলঝাইমার রোগে আক্রান্ত ইঁদুররা মেন্থলের গন্ধ গ্রহণ করে, তখন তাদের বৌদ্ধিক ক্ষমতা উন্নত হয়। মনে হচ্ছে এই রাসায়নিক যৌগ মস্তিষ্কে রোগের ফলে কিছু ক্ষতি কম করতে পারে। বিশেষ করে, গবেষকরা ইন্টারলেউকিন-1-বিটা (IL-1β) প্রোটিনের একটি হ্রাস লক্ষ্য করেছেন, যা শরীরের প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, এটি এমন একটি প্রতিক্রিয়া যা প্রাকৃতিক সুরক্ষা দিতে পারে কিন্তু এটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়। ২০২৩ সালে এই গবেষণাকারী দলটি বলেছে যে এই পরীক্ষা আলঝাইমারের জন্য থেরাপি হিসাবে নির্দিষ্ট গন্ধ ব্যবহার করার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করছে। যদি আমরা বের করতে পারি কোন গন্ধের জন্য মস্তিষ্কের এবং ইমিউন সিস্টেমের কী প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে আমরা সেই সমস্ত গন্ধ স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ব্যবহার করতে পারি। স্পেনের সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড মেডিকেল রিসার্চ (সিআইএমএ) থেকে ইমিউনোলজিস্ট জুয়ান জোসে লাসার্ট বলেছেন, তারা ইমিউন এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে ঘ্রাণতন্ত্রের ভূমিকার উপর ফোকাস করে নিশ্চিত হয়েছেন যে মেনথল প্রাণীর ক্ষেত্রে ইমিউনোস্টিমুলেটরি একটি গন্ধ। কিন্তু তারা লক্ষ করেছেন যে ছয় মাস ধরে এই পদার্থের সংস্পর্শে কিছুক্ষণ এলে আলঝাইমার আক্রান্ত ইঁদুরের বৌদ্ধিক পতন রোধ হচ্ছে এবং সবচেয়ে মজার বিষয় হল, সুস্থ তরুণ ইঁদুরের বৌদ্ধিক ক্ষমতাও উন্নত হয়েছে। পূর্বে মেনথলে শ্বাস নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তা দেখা গেছে। এখানে দেখা গেছে এটি ইঁদুরের বৌদ্ধিক ক্ষমতাও উন্নত করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই গন্ধ এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে অসংখ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এই সম্পর্কগুলি সম্পূর্ণরূপে বোঝা কঠিন, কিন্তু আমরা জানি যে আমাদের ঘ্রাণতন্ত্র মস্তিষ্ককে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু গন্ধ মস্তিষ্কে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে যা স্মৃতি, আবেগ এবং আরও অনেক কিছুকে প্রভাবিত করে। প্রকৃতপক্ষে, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত রোগগুলি – যেমন আলঝাইমার, পারকিনসন এবং সিজোফ্রেনিয়ার ক্ষেত্রে প্রায়শই ঘ্রাণশক্তি কমে আসে। এই নতুন গবেষণায় কিছু আশাব্যঞ্জক তথ্য যোগ করা হয়েছে, কিন্তু মানুষের জন্য এ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।