বিশ্বে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন মানুষ মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস রোগের শিকার। এই অটোইমিউন রোগে, মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে শারীরিক ক্লান্তি, চোখে ঝাপসা দেখা, হাঁটা চলায় ভারসাম্যতার অভাব, বৌদ্ধিকভাবে অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস থেকে সেরে উঠলেও আবার এই রোগের লক্ষণ ফিরে আসে, যা পরবর্তী ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতি ঘটায়।
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস হওয়ার পিছনে সঠিক কারণ এখনও অজানা। কিন্তু বহুদিন যাবৎ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর সাথে এপস্টিন বার ভাইরাসের সম্পর্ক আছে। এটাতে যখন ব্যক্তি ছোটোবেলায় আক্রান্ত হয় তখন বিশেষ কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। বয়ঃসন্ধির সময়ে এর সংক্রমণ হলে গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে জ্বর হয়, যা ‘কিসিং ডিসিস’ অথবা সংক্রামক মনোনিউক্লিয়সিস নামে পরিচিত।
২০২২ র একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সমস্ত ব্যক্তি মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের শিকার, তারা বহু বছর আগে কোনো না কোনো সময়ে এপস্টিন বার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল।
এই বিষয়ে সায়েন্স অ্যাডভান্সে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকদের একটা নিবন্ধে বলা হয়েছে এপস্টিন বার ভাইরাসের অ্যান্টিবডি শরীরে বর্তমান থাকে, যা এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে, কিন্তু মাঝে মাঝে এই অ্যান্টিবডি ভুল বশত মস্তিষ্ক বা সুষুম্না কাণ্ডের ক্ষতি করে ফেলে।