ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াটসনভিল। সেখানে রেডউডের জঙ্গলে চুপচাপ ভূতের মতো ঘোরাঘুরি করছে একটাই সাদা হরিণ। তাকে দেখতে এককালে ভিড় জমাতেন দর্শকরা। কিন্তু সেই সুদিন এখন অতীত। অপার্থিব এই হরিণ প্রজাতির শেষ একা নিঃসঙ্গ সদস্য। মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে।
বিখ্যাত প্রকাশক উইলিয়াম র্যান্ডলফ হার্স্ট একদল ফ্যালো হরিণ উপহার দিয়েছিলেন পশুপালক হেনরি মিলারকে। তারপর তিনি স্যান্টা ক্লারা কান্টিকে সেই হরিণগুলো বেচে দেন। ওই দলের সাথে মরগ্যান হিল অঞ্চলের বেআইনি একটা পশু খামার থেকে উদ্ধার করা আরও কিছু হরিণ ছিল। ওই হরিণদের একসাথে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল মাউন্ট ম্যাডোনায়।
কিন্তু সাদা এই স্ত্রী হরিণটা এখন একা, বহিরাগত বলে মনে হবে। লাল কাঠের জঙ্গলে নিজের জীবনের শেষ কয়েকটা দিন সঙ্গিহীন অবস্থায় কাটাচ্ছে সে। মাউন্ট ম্যাডোনা কান্টি পার্কের একটা অধ্যায় শেষ হবে। ওই উদ্যানের এখনকার বিধিব্যবস্থা কেবলমাত্র স্থানীয় পশুপাখির প্রজাতির জন্যে। কোনও বিশেষ বিরল হরিণের জন্য নয়।
সাদা হরিণের পরিচর্যায় নিযুক্ত আছেন রেঞ্জার স্কট ক্রিস্টোফার। প্রতিদিন হরিণটাকে আলফাআলফা শাক আর মধুমেশানো ওটস খেতে দেওয়ার দায়িত্ব ক্রিস্টোফারের উপর। উঁচু একটা জাল দিয়ে ওই হরিণের জন্যে একটা নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।