বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর তিন বিলিয়ন বছর কেটে গেছে। এবার কি তবে নতুন বিস্ফোরণের সম্ভাবনা? মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন তেমনটাই। বিরাট এক মহাজাগতিক সংঘর্ষের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
দুটো ছায়াপথ জুড়ে তৈরি হয়েছে একটা সুবিশাল ছায়াপথ, নাম J0749+2255। যদিও এটার কেন্দ্রে একটা নয়, রয়েছে দুটো অতিভারি ব্ল্যাকহোল। দুটো কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে দূরত্বটাও মহাজগতের হিসেবে বেশি নয়, মাত্র ১০০০০ আলোকবর্ষ। তাদের মধ্যেই মুখোমুখি সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক ইয়ু চিং-চেন বলছেন, এই ছায়াপথ মহাবিশ্বের শুরুর দিককার, কিন্তু ওই সময়কার ছায়াপথের মধ্যে দুটো ব্ল্যাকহোল সচরাচর দেখা যায় না। এই জন্যেই এই আবিষ্কার এতখানি চিত্তাকর্ষক।
পর্যবেক্ষণের জন্য ছিল মাটিতে বসানো আর আকাশে ঘুরতে থাকা এক সারি টেলিস্কোপের বহর। চেন আর ওনার সহকর্মীরা J0749+2255 থেকে আসা আলো বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। জানা গেছে, এই দুটো কৃষ্ণগহ্বর আজ থেকে মোটামুটি ২২০ মিলিয়ন বছর আগে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে কাছাকাছি আসতে শুরু করে। কিন্তু এই জোড়ের কক্ষপথ ক্রমশ নষ্ট হয়ে আসছে। ফলে, সংঘর্ষ কেবলই সময়ের অপেক্ষা।
যদিও এদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়তো ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আলো আসতে যতটা সময় লাগে, ততটা অপেক্ষা করতেই হয়। পৃথিবীর সাপেক্ষে এই মহাজাগতিক ঘটনাগুলোর ‘এখন’ বলে কোনও মানে হয় না। তাই বিজ্ঞানীরা বর্তমান কালের ব্যবহারই করে থাকেন কোনও ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য।
নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হল এই গবেষণাপত্র।