দেখা গেছে, একটি সাধারণ ধরনের ছত্রাক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং আলজাইমার্স রোগের সাথে সম্পর্কিত বিষাক্ত অ্যামাইলয়েড ফলকগুলিকে ট্রিগার করে। গবেষণাটি ইঁদুরের ওপরে করা হয়েছিল, তবে গবেষণা থেকে মনে হচ্ছে, যে কিছু নিউরোডিজেনারেটিভ অবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কের বাইরের উত্স থেকে উদ্ভূত হতে পারে। অ্যামাইলয়েড প্রোটিন ক্লাম্পগুলি যেগুলি নিউরনের মধ্যে দেখা যায় তা আলজাইমার্স রোগের সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত এবং সাধারণত মস্তিষ্কের অন্তর্নিহিত চাপ বা প্রদাহের ফলাফল বলে মনে করা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিজ্ঞানীরা পারকিনসনের মতো আলজাইমার্স এবং অন্যান্য নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত করে মস্তিষ্কে ক্যান্ডিডা অ্যালবিকান নামে পরিচিত একটি সাধারণ ছত্রাকের লক্ষণ সনাক্ত করেছেন৷
এই গবেষণায় গবেষকরা সরাসরি ইঁদুরের মস্তিষ্কে ক্যান্ডিডা অ্যালবিকান ইনজেকশন দেন। চার দিন পরে, ইঁদুরগুলিকে ইউথেনাইজ করা হয়েছিল এবং তাদের মস্তিষ্ক আরও বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। অনুসন্ধানগুলি থেকে দেখা যায় একবার মস্তিষ্কে ঢুকলে, সি. অ্যালবিকানগুলি দুটি জায়গায় কাজ করে, একটি যে ইমিউন কোশগুলি সক্রিয় হয়ে ছত্রাক দমন করে এবং আরেকটি যা তাদের অনুপ্রবেশকারীকে অপসারণ করতে ট্রিগার করে তাদের নিউরোইমিউন মেকানিজমকে ট্রিগার করতে পারে৷ প্রথম প্রক্রিয়াটিতে স্যাপস নামক একটি ছত্রাকের এনজাইম জড়িত, যা রক্ত-মস্তিষ্কের অন্তরককে অতিরিক্ত ভেদ্য করে তোলে, ফলে শরীরের রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে প্রবাহিত হতে পারে এমন যে কোনও ছত্রাক মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। একই সময়ে, স্যাপস অ্যামাইলয়েড বিটা-সদৃশ প্রোটিনগুলিকে ভেঙ্গে ফেলে যা আলজাইমার্স মস্তিষ্কের মতো ফলক তৈরি করে, যার ফলে মাইক্রোগ্লিয়া নামক ক্লিন-আপ কোশগুলি সক্রিয় হয়ে যায়। দেখা গেছে, সুস্থ স্বাভাবিক ইঁদুরে ১০ দিনের মধ্যে এই পদ্ধতিতে ক্যান্ডিডা অ্যালবিকান মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু মাইক্রোগ্লিয়া সক্রিয় হয়ে, ফলক না সরালে পরবর্তী ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণা নির্দেশ করে যে অ্যামাইলয়েড বিটা প্লেকগুলি আলজাইমার্স রোগে দেরীতে আসে, এটি জ্ঞানীয় পতনের মূল ট্রিগার নয়। হয়তো এই কারণেই মানুষের মধ্যে এই ফলকগুলিকে লক্ষ করে চিকিৎসা বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়। ইমিউনোলজিস্ট ডেভিড কোরি বলেছেন, এই কাজটি সম্ভাব্যভাবে আলজাইমার্স রোগের বিকাশ সম্পর্কিত ধাঁধার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।