ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় আছে প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গল। ঐ গ্রহের মাটির নীচে ছোট ছোট খোপের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। যা প্রমাণ করছে গলিত পাথর আর ম্যাগমার উপস্থিতি। অর্থাৎ এককথায়, মঙ্গলগ্রহের নীচে এখনও চলছে আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ।
এতদিন পর্যন্ত মঙ্গলকে নিষ্প্রাণ গ্রহ বলেই বিবেচনা করা হত। কিন্তু স্ক্যানিং বলছে শুধু সিসমিক সংকেতই নয়, মঙ্গলের উপরিতলের গঠন এখনও পাল্টে দিচ্ছে গ্রহের আগ্নেয় প্রবণতা। পৃথিবী ছাড়া মঙ্গলই একমাত্র গ্রহ যেখানে কোনও এক সময় চৌম্বকক্ষেত্রের উপস্থিতি ছিল। তাই আমাদের গ্রহের মতোই ঐ গ্রহেও একই ধরণের ভূতাত্ত্বিক পটপরিবর্তন ঘটে থাকতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার সেই ২০১৮ সাল থেকেই ঐ গ্রহের অভ্যন্তরীণ গঠনের উপর নজর রেখেছে। নতুন এক গবেষণায় সিসমোগ্রাফি ব্যবহার করে মঙ্গলের কেন্দ্রকের ব্যাস পরিমাপ করা সম্ভব হল। সেটা প্রায় ৩৬২০ কিলোমিটার। সেই একই তথ্যভাণ্ডার থেকে বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ নতুন এক আঙ্গিক খুঁজে পেলেন। মঙ্গলের ক্রাস্টের নীচে গলিত গরম ম্যাগমা থাকার সম্ভাবনা। নেচার অ্যাস্ট্রোনমি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানীদের এই অনুসন্ধান।
মঙ্গলেও ভূমিকম্প হয়। মূলত সার্বেরাস ফোসা নামক এক অঞ্চলে এই কম্পনের কেন্দ্রগুলো অবস্থিত। সেখানে মাটিতে বড়ো বড়ো ফাটলের সন্ধান মিলেছে। আবিষ্কারের কৃতিত্ব সুইজারল্যান্ডের একদল ভূবিজ্ঞানীর। ওনারা গবেষণায় দেখিয়েছেন মঙ্গলের উপরিতল থেকে ৩০-৫০ কিলোমিটার নীচে ভূমিকম্প প্রমান করে যে ঐ অঞ্চলটা গঠনগতভাবে দুর্বল আর উষ্ণ।