ভূপৃষ্ঠের তলায় কোথায় কী ঘটছে তার নিখুঁত অনুসন্ধানের জন্য ইদানীং একাধিক উন্নত পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়। তেমনই আগ্নেয়গিরির জন্যেও নির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। তাতে কম্পনের সামান্য ওঠানামাও ধরা যায়। ভূমধ্যসাগরে, গ্রিসের সান্টোরিনি কাছেই রয়েছে একটা সক্রিয় ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি। নাম – কোলুম্বো। এই আগ্নেয় পাহাড়ের নীচেই এবার গতিশীল ম্যাগমার উপস্থিতি টের পেলেন গবেষকরা।
ভূগোলের ভাষায় বললে, ম্যাগমা চেম্বার। অর্থাৎ, ভূগর্ভে নির্দিষ্ট একটা অঞ্চল জুড়ে ম্যাগমার সক্রিয়তা। এতে অদূর ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেল বলে অভিমত ভূবিজ্ঞানীদের।
আজ থেকে প্রায় চারশো বছর আগে, ১৬৫০ খৃষ্টাব্দে কোলুম্বো সাগরের নীচ থেকে জেগে উঠেছিল। প্রবল ভূমিকম্প আর টানা লাভা নিঃসরণে সান্টোরিনিতে মৃত্যু হয় ৭০জন মানুষের। এই বিপর্যয়ের কারণই ছিল পাহাড়ের নিচে ম্যাগমা চেম্বারের আয়তন আর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এখন গবেষকরা বলছেন, ম্যাগমার আয়তন আগেরবারের মতোই বাড়ছে।
গবেষকরা তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এক গবেষণাপত্রে। সেটা প্রকাশিত হল জিওকেমিস্ট্রি পত্রিকায়। যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা তার নাম – ‘ফুল-ওয়েভফর্ম ইনভার্সান সিসমিক ইমেজিং’। কোলুম্বো ছাড়াও তার আশেপাশে সারিবদ্ধ কয়েকটা ছোট ছোট ডুবন্ত আগ্নেয়গিরিতেও একই ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। দুশ্চিন্তা বাড়ছে গ্রিস ও তার পার্শ্ববর্তী দেশের দ্বীপগুলোতে।