জার্মানির মিউনিখ শহরের হিটিং প্ল্যান্ট এতদিন চলত বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা গ্যাসের সাহায্যে। প্রায় গোটা একটা শতাব্দী ধরে এটাই হয়ে আসছে। কিন্তু এবার দিন বদলাবে। কার্বন দূষণের চাপ কমানোর জন্যে নতুন করে এই প্ল্যান্টে এক বিলিয়ন ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করতে চলেছে জার্মান সরকার।
২০৩৫ সালের মধ্যে মিউনিখ শহরের হিটিং প্ল্যান্ট চালানর জন্যে কাজে লাগান হবে ভূতাপশক্তি বা জিওথার্মাল এনার্জি। সাদার্ন সেন্ডলিং-এর প্ল্যান্টের তত্ত্বাবধায়ক ক্রিশ্চিয়ান পেল্টেল প্রবল আশাবাদী। উনি ভূতাপশক্তি বিভাগের কর্ণধারও বটে। ওনার ভাষায়, একটা সোনার খনির উপর আমরা বসে আছি। এমনিতেই মিউনিখের দক্ষিণের এই অঞ্চলটা উষ্ণ প্রস্রবণের জন্যে বিখ্যাত। পেল্টেল তাই বলছেন, ভূতাপশক্তি উৎপাদনের জন্য মিউনিখ একেবারে ঠিকঠাক জায়গা।
এমনিতেই গোটা ইউরোপ জুড়ে একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই ভূতাপশক্তিকে বিকল্প হিসেবে দেখছে। চিরাচরিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কার্বন দূষণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে দূষণে লাগাম টানার বিষয়ে ইউরোপের অনেক দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্যাসের স্থায়ী পরিবর্ত হয়ে উঠতে পারে জিওথার্মাল এনার্জি।
মাটির তিন কিলোমিটার নিচে থেকে গরম জল পাম্প করে উপরে তোলা হবে। ঐ তাপশক্তি স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপর গরম জল ঠাণ্ডা করে আবার ভূগর্ভে চালান করা হবে। আপাতত এটাই কাজের পদ্ধতি, ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে।