ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বা শরীরে কম ভিটামিন ডি-এর মাত্রার সঙ্গে সোরিয়াসিসের তীব্রতা বৃদ্ধির যোগাযোগ আছে। প্রায় ৫০০টি ক্ষেত্রে মার্কিন গবেষণা অনুসারে এই তথ্যই উঠে এসেছে। সোরিয়াসিস এক ধরনের চর্মরোগ যা সাধারণত হাঁটু, কনুই, গায়ে এবং মাথার ত্বকে হয় এবং চুলকানি, ত্বকে আঁশের মতো দাগ ও ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে৷ রোগটি বেশ বেদনাদায়ক এবং দীর্ঘমেয়াদী এবং কোনো কিছুতে মনোনিবেশ করতে বাধার সৃষ্টি করে। কোনো পরিবেশগত অবস্থার জন্য উদ্ভূত একটি জিনের বৈশিষ্ট্যের কারণে রোগটি হয়। বোস্টনে নিউট্রিশন ২০২৩-এ গবেষণা উপস্থাপনকারী ব্রাউন ইউনিভার্সিটির রাচেল লিম বলেছেন টপিক্যাল সিন্থেটিক ভিটামিন ডি ক্রিম সোরিয়াসিসের জন্য নতুন থেরাপি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন ভিটামিন ডি ইমিউন রেসপন্স বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকের রোগ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের কোশের উপর সরাসরি কাজ করে।
ন্যাশেনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভে (এনএইচএএনইএস) থেকে পাওয়া তথ্যে ২০০৩ থেকে ২০১৪-এর সময়কালে ৪০,০০০ ব্যক্তির মধ্যে সোরিয়াসিসের ৪৯১টি কেস পাওয়া গেছে। রোগের তীব্রতা পরিমাপের জন্য গবেষকরা দেখেন প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের কতটা অংশ সোরিয়াসিস-আক্রান্ত। তারা রক্তের নমুনা থেকে ভিটামিন ডি-এর মাত্রারও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। দেখা গেছে যাদের শরীরের উপরিভাগের বেশিরভাগ অংশ সোরিয়াসিসে আক্রান্ত তাদের গড় ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম। অন্যদিকে, যাদের গড় ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বেশি তাদের ত্বকে সোরিয়াসিসের প্রকোপ কম। চো এবং অন্যান্য গবেষকরা আলাদাভাবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির মাত্রা বিশ্লেষণ করে দেখেন যে যাদের রক্তের প্রতি লিটারে ভিটামিন ডি-র মাত্রা ৫০ ন্যানোমোলের কম তারাই সোরিয়াসিসে আক্রান্ত। তারা আরও বলেন যে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য বা ভিটামিন ডি ওষুধ খেলে এই রোগের প্রকোপ কমতে পারে।