ডঃ জয়িতা গুপ্ত, একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যাপিকা যিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার সূত্রে এই বছর অক্টোবর মাসে অত্যন্ত সম্মানজনক ডাচ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ডঃ জয়িতা গুপ্ত অ্যামস্টারডাম ইন্সটিটিউট ফর স্যোশাল সায়েন্স রিসার্চ-এর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য গ্লোবাল সাউথ এর অধ্যাপিকা। ডাচ রিসার্চ কাউন্সিল থেকে প্রাপ্ত তার এই পুরস্কার ডাচ নোবেল নামে পরিচিত। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ১.৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও তৎসংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। প্রতি বছর নেদারল্যান্ডে গবেষণারত বৈজ্ঞানিকদের থেকে বেছে নিয়ে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। স্পিনোজা অ্যাওয়ার্ড বা ডাচ নোবেল নামে এই পুরস্কারটি ডাচ অ্যাকাডেমিক্সের সর্বোচ্চ পুরস্কার।
ডঃ গুপ্তর দিল্লিতে জন্ম, বড়ো হয়ে ওঠা ও পড়াশোনা, তিনি দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে ইকোনমিক্স নিয়ে পড়ার পর, আইন পড়েন ও পরবর্তী সময়ে আমেরিকায় এ নিয়ে উচ্চ শিক্ষা ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণায় সমাজে ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত অসাম্য বিবেচিত হয়েছে। তিনি বলেন যে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দ্বন্দ্ব এবং অবিচার প্রতিরোধ করতে প্রাকৃতিক সম্পদের পুনর্বন্টন করা জরুরি এবং মোট দেশীয় পণ্যের পরিবর্তে বিশ্বব্যাপী পণ্যের ভিত্তিতে জাতীয় বৃদ্ধি পরিমাপ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এর আগে ২০০৭ সালে যৌথভাবে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং এআই গোরে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন, তার ফল ও কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যেতে পারে সে সম্বন্ধে তারা সম্যক ধারণা দিয়েছিলেন। ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর মুখ্য লেখিকা ছিলেন ডঃ গুপ্ত। অতএব এই ডাচ নোবেল তার মুকুটের নতুন রত্ন।