ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে আমরা সবাই জানি। ব্যায়ামে অনেক অসুখের সম্ভাবনাও কমে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে এরকম ধারণা আমাদের বহুদিনের। কিন্তু ধারণা এবং প্রমান এক নয়। ‘নেচার’ পত্রিকার ১লা মে সংখ্যায় প্রকাশিত গবেষণায় এক বিশাল বিজ্ঞানীদের দল ২০১৬ সাল থেকে চলে আসার পরীক্ষা নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছেন। এতে অংশ নিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ব্রড ইনস্টিটিউট, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ্ এবং আরও বেশ কয়েকটি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। প্রকল্পটি প্রথম শুরু হয় ২০১৬ সালে। তারপর ক্রমশঃ প্রসারিত হয়ে গত প্রায় একদশক জুড়ে এত বড় একটা দল বানিয়ে ফেলেছে যাকে ভাবাই যেতে পারে বিজ্ঞানীদের একটা আস্ত গ্রাম বলে। এই গবেষণায় র্যাটাস নর্ভেগিকাস প্রজাতির ইঁদুরকে আট সপ্তাহের গভীর ব্যায়ামের প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছিল। তারপর পরীক্ষা করা হয় তাদের রক্ত, টিস্যু, প্লাজমা এবং ১৮টি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ভিতর ঘটতে থাকা বিভিন্ন মলিকুলার পরিবর্তনের ছাপগুলো। মাল্টি-ওমিকস পদ্ধতি, যাতে করে ডি এন এ, আর এন এ, প্রোটিন, মেটাবোলোম, প্রভৃতি ধরার চেষ্টা করে গেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণায় সময়ের সাথে সথে ব্যায়াম করার ফলে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নানা পরিবর্তনের এক জৈব ম্যাপ তৈরী করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশা এর উপর দাঁড়িয়ে এই অঙ্গগুলির গোলমালের সময় চিকিৎসার পথ বেরিয়ে আসতে পারে।
ওষুধতো অস্বাভাবিক অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর কাজ করে। তা করতে গেলে লাগে অস্বাভাবিক অবস্থার নানা খুঁটিনাটি বোঝা। সেদিক দিয়ে এ গবেষণা বিশেষ আলোকপাত করবে।