কোথায় লুকবে, ধু ধু করে মরুভূমি! গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর আঁচ থেকে পার পেল না গ্রিনল্যান্ডের মধ্যভাগও। গত হাজার বছরের তাপমাত্রা পুনরায় সাজিয়ে দেখা গেছে, ইদানীং কালের উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনা ঐ অঞ্চলে বিরল। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল অবধি দশকটা শেষ ১০০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল গ্রিনল্যান্ডের সাপেক্ষে। গত শতাব্দীর তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
অ্যালফ্রেড ওয়েগেনার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা প্রতিবেদনটা প্রকাশ করলেন সম্প্রতি নেচার পত্রিকায়। মধ্য ও উত্তর গ্রিনল্যান্ডের বরফ কেন্দ্রগুলোর বিগত শতকের তাপমাত্রা নতুন করে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর সাথে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য রেখেছেন বরফ গলার হারের উপরেও।
গ্রিনল্যান্ডের বিস্তীর্ণ বরফের চাদর সারা বিশ্ব জুড়েই তাপমাত্রা আর জলবায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। বরফ হয়ে গোটা মহাদেশটায় জমে রয়েছে কম করে ৩ মিলিয়ন কিউবিক কিলোমিটার জল! সেটা গলে গেলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিবেশ দূষণ আর বিশ্ব উষ্ণায়নের গতি এইভাবেই বজায় থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে ৫০ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে সমুদ্রের জলের উচ্চতা।
কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের অতখানি ভেতরে, প্রায় ৩০০০ মিটার উচ্চতার পাহাড়ি এলাকাতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কি ততটা ক্ষতিকর হতে পারে? এই প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে গবেষকদের। দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্যও অপ্রতুল। কিন্তু সেই দ্বিধার অবসান ঘটেছে নতুন এই গবেষণাপত্রে। অ্যালফ্রেড ওয়েগেনার ইন্সটিটিউটের অন্তর্গত হেল্মহোজ সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড মেরিন রিসার্চের বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিষয়টা। সত্যিই গ্রিনল্যান্ডের মধ্যভাগে অপেক্ষাকৃত উঁচু অঞ্চলেও বিশ্ব উষ্ণায়নের কালো ছায়া পড়তে শুরু করেছে।