গত বছরের ফেব্রুয়ারি। তখন থেকেই ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। বছর গড়িয়ে গেল। এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। নাগরিকরা এক শহর থেকে অন্য শহরে পালাচ্ছে, রাস্তায় ছড়িয়ে আছে ছিন্নভিন্ন দেহ, গুঁড়িয়ে যাওয়া ঘরবাড়ির ছবি সংবাদে সংবাদে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে।
কিন্তু যুদ্ধের ক্ষতি কিংবা বিপদের জায়গাটা একমুখী নয়। ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাব ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা ক্ষেত্রে। বিজ্ঞানের পরিসরটুকুও নিরাপদ নেই। জ্বালানী আর খাদ্যের দাম যেমন বেড়েছে, পরমাণু অস্ত্রের আশঙ্কায় সারা পৃথিবী জুড়েই অন্যরকম চোরাস্রোত বইছে। করোনা ভাইরাস আর জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট বেড়েছে বৈ কমেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাধারণ সভাপতি টেড্রোজ আধানোম ঘ্রেব্রেইসাস বলছেন, একই সময়ে এই ত্রিফলা বিপর্যয় পৃথিবীর জন্যে সত্যি ভয়ঙ্কর। ওনার বক্তব্যের মূল দিকটা হচ্ছে, বিজ্ঞানকে স্বভাবতই সমাধানের উপায় হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যদি আমূল বদলে যায় তাহলে গবেষকদের জীবনে স্থিরতা থাকে না। নির্দিষ্ট ল্যাব নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট সহকর্মী না থাকার কারণে সমস্যা হয় তাঁদের।