বায়ুশক্তির জন্যে টার্বাইনই হোক কিংবা বিদ্যুৎচালিত গাড়ি। ভবিষ্যতের একাধিক প্রযুক্তির জন্যে বিরল মৃত্তিকা মৌল ভীষণ জরুরি। কিন্তু ঘটনাচক্রে এই দুষ্প্রাপ্য পদার্থের বেশিটাই আসে চীন থেকে। কিন্তু এবার স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ এসেছে ইউরোপের কাছে। সুইডেনের একেবারে উত্তরে বিরল মৃত্তিকা মৌলের এক বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হল সম্প্রতি।
গত বৃহস্পতিবার সুইডেনের খনি-সংস্থা ‘লুওসাভারা কিরুনাভারা আক্টিবোলাগ’ (সংক্ষেপে এলকেএবি) ঘোষণা করেছে এই খবর। আকরিক লোহার একটা খনির ঠিক পাশেই অবস্থিত এই নতুন প্যান্ডোরার বাক্স। রয়েছে এক মিলিয়ন টনের বেশি বিরল মৃত্তিকা অক্সাইড। সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জান মোস্ট্রম এক বিবৃতিতে জানালেন, ইউরোপে এখনও অবধি এটাই বিরল মৌলের সবচেয়ে বড়ো খনি। অপ্রচলিত শক্তিই যদি ভবিষ্যতের লক্ষ্য হয় তাহলে এখান থেকেই দরকারি কাঁচামাল তৈরি হবে।
ইউরোপের সাপেক্ষে এটা সর্ববৃহৎ হলেও, সারা পৃথিবীতে বিরল মৃত্তিকা মৌলের চাহিদার নিরিখে এটা স্বল্পই বলা চলে। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। গোটা বিশ্বের ১২০ মিলিয়ন টন চাহিদার কাছে এটা সত্যিই সামান্য। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালে জানিয়েছিল ৯৮% বিরল মৌল আমদানি করতে হয় চীন থেকে।
সুইডেনের শক্তিমন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবা বাস্ক বলছেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ইউরোপ বড্ড বেশি করে দুটো দেশের উপর নির্ভরশীল বিরল মৌলের জন্যে। বাস্কের ইশারা মূলত রাশিয়া আর চীনের দিকে। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের আবহে গোটা ইউরোপই এই দুটো রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে মরিয়া।