ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা অনুসারে বায়ু পরিস্রাবণ ব্যবস্থা ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম নয়। প্রকাশিত এই নতুন সমীক্ষা অনুসারে ঘরের মধ্যে সামাজিক মিথস্ক্রিয়াকে নিরাপদ করার জন্য তৈরি করা প্রযুক্তি বাস্তব জগতে কার্যকর নয়। গবেষকের দলটি বায়ু পরিস্রাবণ, জার্মিসাইডাল লাইট এবং আয়োনাইজার প্রযুক্তি অধ্যয়ন করেছে। সমস্ত প্রমাণ থেকে তারা দেখেছে যে এই প্রযুক্তি শ্বাসযন্ত্র বা পৌষ্টিকতন্ত্রের সংক্রমণ থেকে বায়ুকে নিরাপদ করতে সেভাবে সক্ষম নয়। ইউইএ-র নরউইচ মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক পল হান্টারের মতে এয়ার ক্লিনারগুলো তাদের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাতাস থেকে দূষক বা দূষিত পদার্থকে ফিল্টার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ যখন কোভিড মহামারী পৃথিবীতে আঘাত হানে, তখন অনেক বড়ো বড়ো কোম্পানি এবং সরকার ঘরের মধ্যে বা ছোটো জায়গায় বায়ুবাহিত ভাইরাস কণা হ্রাস করতে এই ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল বা ব্যবহার করার কথা ভেবেছিল। কিন্তু বায়ু শোধনের এই প্রযুক্তি ব্যয়বহুল হতে পারে। তাই খরচের কথা মাথায় রেখে এর থেকে পাওয়া সুবিধাগুলো দেখে নেওয়া প্রয়োজন ও যুক্তিসঙ্গত।
গবেষকের দল তাই দেখার চেষ্টা করে যে বায়ু পরিস্রাবণ প্রযুক্তি মানুষকে বায়ুবাহিত সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে পারে কিনা। তারা ৩২ টি গবেষণায় বায়ু পরিস্রাবণ প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসা বা না আসা ব্যক্তিদের মধ্যে মাইক্রোবায়াল সংক্রমণ বা উপসর্গের প্রমাণ বিশ্লেষণ করেছে, আর এই পরীক্ষা স্কুল বা কেয়ার হোমের মতো জায়গায় পরিচালিত হয়েছে। তারা দেখেছেন যে বায়ু পরিস্রাবণের ফলে জীবাণু হ্রাস করা যেতে পারে কিন্তু পদ্ধতিগুলো সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করতে বা অসুস্থতা বন্ধ বা হ্রাস করতে পারে না। গবেষকদের অনুসারে কিছু দুর্বল প্রমাণ ছিল যে বায়ু পরিস্রাবণ পদ্ধতি সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করে, কিন্তু এই প্রমাণ পক্ষপাতপূর্ণ এবং ভারসাম্যহীন। তাছাড়াও কিছু প্রাসঙ্গিক গবেষণা ছিল যেখানে দেখা গেছে খুব সামান্য প্রভাব রয়েছে কিন্তু তা কখনই প্রকাশিত হয়নি। তারা এও বলেন যে ফলাফলগুলো হতাশাজনক হলেও জনস্বাস্থ্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের একটি সম্পূর্ণ চিত্র থাকা অত্যাবশ্যক। আশা করা যায় কোভিডের সময় যে গবেষণাগুলো করা হয়েছে সেগুলি শীঘ্রই প্রকাশিত হবে এবং মহামারী চলাকালীন বায়ু পরিস্রাবণের মূল্য কী হতে পারে সে সম্পর্কে আরও সচেতন রায় দিতে হবে।