ব্লাডারর্যাক। এটা এক প্রকারের শৈবাল। মূলত ইউরোপের পশ্চিমে অবস্থিত বাল্টিক সাগরে দেখতে পাওয়া যায়। মিথেন গ্যাস নিঃসরণে এদের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তাতেই নাকি পরিবেশের কার্বন দূষণের কুপ্রভাব অনেকটা মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে এই শৈবাল।
বিগত কয়েকটা মরশুম জুড়ে সমুদ্রজলের উপরিতল আর বায়ুমণ্ডলের মধ্যেকার গ্রিনহাউস গ্যাসের আদানপ্রদান নজরে রাখছিলেন আস্কো ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই অদ্ভুত এই পর্যবেক্ষণ উঠে এলো। প্রকাশিত হয়েছে নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায়। স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্টিক সি সেন্টারের বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফ হামবর্গ ছিলেন মুখ্য গবেষক।
প্রোফেসর হামবর্গ বলছেন, ব্লাডারর্যাক শৈবাল প্রধানত কঠিন পদার্থের মধ্যেই জন্মায়। কিন্তু এখানে নরম পলির মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে, যেখানে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করাটাই স্বাভাবিক। আবার এই শৈবাল থেকেই আর্কিয়ার কলোনি তৈরি হচ্ছে কোথাও কোথাও। জৈব পদার্থের সাথে মিশে ঘন স্তরে পরিণত হচ্ছে তারপর। উপকূলে এই ধরণের ঘটনা কিন্তু বিরল নয়। পরিবেশ থেকে বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস এই সব বাস্তুতন্ত্রে থাকা শৈবাল আর আর্কিয়ার দ্বারা শোষিত হয়। এটা ‘ব্লু কার্বন’ নামে পরিচিত।
অধ্যাপক হামবর্গ বলছেন, জলবায়ু সংকটের সাথে লড়াই করতে এই কার্বননির্ভর বাস্তুতন্ত্র সহায় হতে পারে। তাই এদের সংরক্ষণের আশু প্রয়োজন। এই ব্লু কার্বন ইকোসিস্টেমের মধ্যে ম্যানগ্রোভও একটা।