ওপরে মোটা সর দেওয়া বা বুদবুদ সহযোগে ধূমায়িত দুধ চা – সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এবং এশিয়ার অন্যান্য অংশে অসাধারণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু জার্নাল অফ অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারে প্রকাশিত এক নতুন গবেষণা এই পানীয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে বেশ কিছু উদ্বেগজনক সংযুক্তি তুলে ধরেছে। চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ ফিনান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের গবেষকরা বেইজিংয়ের ৫২৮১ জন কলেজ ছাত্রদের পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে দুধ চায়ের আসক্তির লক্ষণগুলো কেবল বাস্তবই নয়, বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের মতো সমস্যার সাথেও যুক্ত। আসক্তির একটি স্বীকৃত স্কেল ব্যবহার করে – যা ক্রমাগত তৃষ্ণা এবং অসংযম প্রভৃতি কারণের উপর দৃষ্টি দেয় – গবেষকের দল প্রমাণ পেয়েছে যে বেশ কিছু যুবকযুবতী চায়ের প্রতি আসক্তি দেখাচ্ছে। অতিরিক্ত চিনির পাশাপাশি, দুধ চায়ে প্রায়শই ক্যাফিন থাকে এবং এই ধরনের পানীয় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে খারাপ মেজাজ এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে দুধ চা খেলে ছেলেমেয়েদের একাকীত্ব এবং বিষণ্নতার বৃদ্ধি পায়। যদিও এর কারণ এখনও জানা যায়নি তবে এই ধরনের পানীয়র ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে এই বিষয় নিয়ে আরও তদন্ত করা প্রয়োজন। গবেষকরা অনুমান করেছেন যে চীনে বা অন্যান্য জায়গায়, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের একটি উপায় হিসাবে যুবক যুবতীরা দুধ চা ব্যবহার করছে – এবং এই পানীয়গুলো সোশ্যাল মিডিয়া বা মাদকের মতোই আসক্তি এবং ক্ষতিকারক প্রতিপন্ন হতে পারে। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে দুধ চা খাওয়ার ফলে আসক্তির বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন বার বার চা পান করা, চায়ের প্রতি নির্ভরতা বা তৃষ্ণার্ত বোধ করা, থামার অভিপ্রায় বা থামতে অক্ষম, সহনশীলতা এবং অপরাধবোধ প্রভৃতি। দুধ চা পানের ফলে স্থূলতা এবং দাঁতের ক্ষয় থেকে আসক্তি এবং বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে আর এই শারীরিক এবং মানসিক উভয় সমস্যা থেকে যুবসম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- যেমন এই ধরনের বিজ্ঞাপন সীমাবদ্ধ করা, মানসিক-শিক্ষা প্রদান, খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি মান স্থাপন প্রভৃতি।