শেষ কয়েক দশকে জলবায়ুর পরিবর্তন, জমির ব্যবহারে বদল, নির্মাণ শিল্পের চাপ আর জনবিস্ফোরণ এইসব কারণে বন্যার সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। অনেক বেশি মানুষ এখন বন্যার কবলে পড়ে। সুতরাং অর্থনৈতিক আর সামাজিক ক্ষতি এড়াতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তার চেয়েও বেশি জরুরি আরও সঠিক উপায়ে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া।
প্রচলিত পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় বন্যার ঐতিহাসিক তথ্য। এই উপায় কয়েক দশক আগে অবধিও মোটামুটি কার্যকর ছিল। কিন্তু এই পদ্ধতিতে জলবায়ু সংকট, নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ আর জমির চরিত্র বদল ইত্যাদি বিষয় ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হয় না। কত ঘনঘন বন্যা হবে সেটা বোঝা দুষ্কর হয়ে পড়ে এই প্রচলিত উপায়ে। বাড়িঘর তৈরির ক্ষেত্রেও দূরদর্শিতার ছাপ থাকে না মোটেই।
সম্প্রতি জার্নাল অফ হাইড্রোলজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় আর কোরিয়ার চুং-আং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে পরীক্ষানিরীক্ষায় ছিলেন। এই পরিবর্তনশীল জলবায়ু আর আবহাওয়ার মধ্যে এটাই আপাতত সবচেয়ে নিখুঁত পদ্ধতি।
গবেষক দলের প্রস্তাবিত পদ্ধতির নাম – ননস্টেশানারি ফ্লাড ফ্রিকোয়েন্সি অ্যানালিসিস। বিভিন্ন জলাধার, জলাশয়, নদী আর সমুদ্রের বদলে যাওয়া নিয়মকানুন মেনেই এই পদ্ধতি রচিত হয়েছে।