বাজ পড়তে কে না দেখেছে! আলোর ঝলকানি আর শক্তিতে হতবাক হয়ে যেতে হয়। কিন্তু বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে কয়েক ধাপে ভেঙে ভেঙে নামে। সেগুলোকেই জিগজ্যাগ রেখা বলা হচ্ছে। কিন্তু এই আঁকাবাঁকা আকারের রহস্য এতদিন ধরে সমাধান হয়নি।
নতুন গবেষণা দিচ্ছে ব্যাখ্যা। বজ্রগর্ভ মেঘের মধ্যে প্রবল তড়িৎক্ষেত্রের জন্ম হয়। তাতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে ইলেকট্রন কণা। তখন ‘সিঙ্গলেট ডেল্টা অক্সিজেন মলিকিউল’ নামের একটা বিশেষ গঠন তৈরিতে সুবিধে হয় যথেষ্ট শক্তিশালী ঐসব ইলেকট্রনের। তারপর এই নতুন তৈরি হওয়া কণা আর ইলেকট্রন মিলিত হয়ে ছোট কিন্তু উচ্চ পরিবহনক্ষমতার কয়েকটা ধাপ তৈরি করে ( বা সমান্তরাল রেখাও ভাবা যেতে পারে)। এই রেখাগুলোই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ জুড়ে তীব্রভাবে আলোকিত হয়ে থাকে, সেটাই আমরা দেখতে পাই।
আবার এই ধাপ যখন শেষ হয়, সেই শেষপ্রান্তে এই পুরো ঘটনায় একটা বিরতি পড়ে। তারপর আবার শুরু হয়। আবার সেই উজ্জ্বল ঝলকানি। এই পদ্ধতিটাই বারবার ঘটতে থাকে।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পদার্থবিজ্ঞানের গবেষক-অধ্যাপক জন লওকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন সম্প্রতি।