কাল ২১ অগস্ট। পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে আবার এক গ্রহাণু। সেটা দেখতে পেয়েছে নাসা। অঙ্ক কষে তারা বলেছে এই গ্রহাণুর গতি ঘন্টায় ৯৪ হাজার কিলোমিটার! পৃথিবী আর চাঁদের যে দূরত্ব তার চেয়ে ৯ গুণ বেশি দূর দিয়ে এই গ্রহাণু চলে যাবে। এই গ্রহাণুর ব্যাসার্ধ ৪৫০০ মিটার। নাসার বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণ্যুকে দেখবেন টেলিস্কোপের সহায়তায়। এই ধরণের গ্রহাণু সাধারণত মহাকাশে বিপজ্জনক বলে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলেন। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি পৃথিবীর অস্বস্তি বাড়বে না এবারের এই গ্রহাণুর ঝোড়ো গতির প্রস্থানে। গ্রহাণুটিকে আবার পৃথিবীর কাছাকাছি দেখা যাওয়ার কথা ২০৬৩-তে। নাসা আরও জানিয়েছে, প্রত্যেক ৫.৯ বছর অন্তর গ্রহাণু সুর্যের চারদিকে একবার ঘোরে। আর তখনই সে পৃথিবীর পাশ দিয়ে যায়। কাল শনিবার পৃথিবীর পাশ দিয়ে তার যাওয়া পরবর্তী ৬৫ বছরের জন্য সবচেয়ে কাছে হয়ে থাকবে। এই গ্রহাণুকে প্রথম দেখা গিয়েছিল হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ থেকে ২০১৬ সালে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, গ্রহাণুটি ভীষণই কালো। কিন্তু এর রোটেশন পিরিয়ড, পোল ডিরেকশন, স্পেক্ট্রাল ক্লাস, কোনও কিছুই বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। নাসা এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা ২৬ হাজার গ্রহাণুকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তার মধ্যে, নাসার দাবি, তার মধ্যে ১০ হাজার গ্রহাণুকে বিপজ্জনক বলা হচ্ছে। পৃথিবীর নিকটতম গ্রহাণুর দূরত্ব হল সুর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের ১.৩ গুণ কম! পৃথিবী থেকে সুর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল।
গ্রহাণু কী? মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে গ্রহাণুর সৃষ্টি সৌরজগৎ থেকেই। সুর্যের চারপাশে গ্রহাণুদের প্রথম দেখা গিয়েছিল ৪৬০ কোটি বছর আগে।