রেডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকার (আরএসএনএ) বার্ষিক সভায় এই সপ্তাহে এক নতুন গবেষণা উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে দু বছর সময়কালে বলে হেড করার সময়, অর্থাৎ যখন খেলোয়াড়রা তাদের মাথা দিয়ে বলে আঘাত করে তখন মস্তিষ্কের মাইক্রোস্ট্রাকচারে ক্ষতি হয় এবং মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের পতন ঘটে। এই উদ্বেগের একটি বড় অংশ তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের পরবর্তী জীবনে নিউরোডিজেনারেশন এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি প্রদান করে। পূর্ববর্তী গবেষণায় একবার ফুটবলে হেড করার সময় মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই নতুন গবেষণায় দুই বছরের মধ্যে মস্তিষ্কের কী পরিবর্তন হয় তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় ১৪৮ জন তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক অপেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়কে (গড় বয়স ২৭, তাদের মধ্যে ২৬% মহিলা) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষক দল খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশেষ প্রশ্নাবলী তৈরি করেছেন যাতে তারা কতবার তাদের মাথা দিয়ে ফুটবলে হেড করে এই তথ্য ও অন্যান্য নানা প্রশ্ন ছিল।
তালিকাভুক্তির সময় এবং দু বছর পরে খেলোয়াড়দের মৌখিক কথা বলা এবং স্মৃতির মূল্যায়ন করা হয়েছিল, আর ডিফিউশন টেনসর ইমেজিং (ডিটিআই) নামে একটি এমআরআই করা হয়েছিল। ডিটিআই টিস্যুর মধ্যে জলের অণুর মাইক্রোস্কোপিক গতিবিধি ট্র্যাক করে মস্তিষ্কের মাইক্রোস্ট্রাকচারকে চিহ্নিত করে। বেসলাইন পরীক্ষার ফলাফলের তুলনায়, উচ্চ-হেড দেওয়ার গোষ্ঠী (যারা দু বছরে ১৫০০-রও বেশি বলে হেড করেছে ) তাদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল অংশে শ্বেত পদার্থ অঞ্চলে বিস্তৃতি বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং কিছু মস্তিষ্কের অঞ্চলে ওরিয়েন্টেশন ডিপ্রেশন ইনডেক্স (মস্তিষ্কের সংগঠনের একটি পরিমাপ) হ্রাস প্রদর্শন করেছে। ডাঃ লিপটন বলেছেন, বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে দুই বছরের সময়কালে উচ্চ মাত্রায় হেড করার সাথে মস্তিষ্কের মাইক্রোস্ট্রাকচারের পরিবর্তনের সম্পর্ক ছিল , এটি অনেকটা মৃদু আঘাতমূলক মস্তিষ্কের আঘাতের ক্ষেত্রে দেখা যায়। দ্বিতীয় গবেষণায় গবেষকরা ৩৫৩ জন অপেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়ের (যাদের বয়স ১৮-৫৩, এবং ২৭% মহিলা) মৌখিক কথা বলার পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেছেন। তারা দেখেছেন, বেশি মাত্রায় হেড করার সাথে মৌখিক কথা বলার কর্মক্ষমতা হ্রাস যুক্ত ছিল। এই ফলাফলগুলি চর্চিত কথোপকথন এবং বিতর্কিত বিষয় যোগ করে যে ফুটবলে হেড দেওয়া উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে কিনা।