জেশিফিশের অনুকরণে একটা রোবট বানিয়ে ফেললেন গবেষকরা। সমুদ্রের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করতে কাজে লাগানো হবে এই রোবট জেলিফিশকে। আকারে মানুষের হাতের মাপের।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউটে এই গবেষণার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরেই সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হবে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এই যন্ত্রকে। সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে প্লাস্টিক সংগ্রহ করে উপরে ফিরে আসতে পারবে এই রোবট।
সায়েন্স অ্যাডভান্সেস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই রোবট নির্মাণের খবর। মুখ্য গবেষক ছিলেন টিনালু ওয়াং। তিনি বলছেন, জেলিফিশ যখন সাঁতরে উপরের দিকে ওঠে তখন সেই পথের হরেক বস্তুকে সে বন্দি করতে পারে। শুধু তা’ই নয়, সাঁতারের সময় জেলিফিশের শরীরের চারিদিকে একটা বিশেষ প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এই রোবটও চলার সময় জলের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করতে সক্ষম। তাতে বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহে সুবিধে হবে।
জলের নিচে বিভিন্ন কাজের জন্য যত রোবট তৈরি হয়েছে, সেগুলো মুখ্যত সামুদ্রিক প্রাণীদের শরীর এবং নড়াচড়াকে অনুকরণ করে। এমনকি গভীরতম সমুদ্রখাত মারিয়ানা ট্রেঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিল চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা স্নেলফিশ রোবট। সমুদ্রের নিচে কোনও পিচ্ছিল বস্তুকে ধরার জন্য ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা রোবট বানিয়েছিলেন অক্টোপাসের অনুকরণে, নাম ছিল ‘অক্টা-গ্লোভ’।