মানুষের দাপটেই যে ধরিত্রী গরম হয়ে উঠেছে এমনটা একপেশে কথা। পৃথিবীর উষ্ণতার হেরফের বারবার ঘটেছে। এমনও সময় ছিল যখন তাপমাত্রা এখনকার তুলনায় দুই-তিন ডিগ্রি বেশি ছিল। সেই সময়কার অর্থাৎ, প্লিওসিন যুগের মহাসাগরে ডেথ জোন বা মৃত্যু ফাঁদের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। একটা ম্যাপও প্রস্তুত করেছেন তাঁরা।
তাপমাত্রা যত বাড়বে সমুদ্রের জলের, ততই অক্সিজেন কমবে পরিমণ্ডলে। তাই গবেষকদের তৈরি করা এই মানচিত্র থেকে বোঝা যাবে ভবিষ্যতে ঠিক কোন কোন জায়গায় এই ধরনের ‘অক্সিজেন মিনিমাম জোন’ বা সংক্ষেপে ওএমজে সৃষ্টি হতে পারে। বলাই বাহুল্য এই সব স্থানে অক্সিজেনের মাত্রা ন্যূনতম হবে। সাগরের ১০০ মিটার থেকে ১০০০ মিটার নিচে জলের মধ্যে মৃত্যুপুরী। তাতে সামুদ্রিক জীবজগতের উপর প্রভাব পড়বে অবশ্যই।
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ক্যাথেরিন ডেভিস বললেন, সাগরে ভূ-রাসায়নিক চক্রের জন্য এই অক্সিজেন মিনিমাম জোন খুবই গুরুত্ব রাখে। শ্রীমতী ডেভিস ছিলেন অন্যতম মুখ্য গবেষক। এই অঞ্চলগুলো সৃষ্টি হয় সেইখানে, যেখানে সূর্যের আলো আর অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। নির্দিষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করতে পারলে বোঝা যাবে কোথায় কোথায় কার্বন আর নাইট্রোজেনের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে আছে। এই দুই মৌল আবার জীবজগতের পুষ্টিচক্রের জন্য অপরিহার্য।