স্পেনীয়রা ১৫১৯ সালে মেক্সিকো দখল করে। কিন্তু তার আগে মেক্সিকো উপত্যকায় যে কৃষিপদ্ধতি চালু ছিল তাতে বিপুল মানুষের পেট চলত। জনসংখ্যাটা সেইসময়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল।
স্পেনের সবচেয়ে বড়ো শহরাঞ্চল সেযুগে ছিল সেভিয়া। লোকসংখ্যা ৫০০০০। কিন্তু মেক্সিকো উপত্যকা, যা বর্তমানে মেক্সিকো সিটি নামে পরিচিত সেখানে ৩ মিলিয়ন মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু ঐ অঞ্চলে শুষ্ক বসন্ত আর গ্রীষ্মের শেষে বর্ষা। ফলে চাষের জন্যে ঋতুপরিবর্তনের উপর সঠিক নজর রাখাটা আবশ্যিক ছিল। সময়ের আগে বা সময় পেরিয়ে গেলে মুস্কিল। মোদ্দা কথা, সামান্য ভুলচুকের জন্যে ক্ষতির সম্ভাবনা ৩ মিলিয়ন মানুষের।
অ্যাজটেকরা যে ক্যালেন্ডারের ব্যবহার জানত সেটা সুবিদিত। কিন্তু এতখানি নিখুঁত কি শুধুই ক্যালেন্ডারের সাহায্যে হওয়া সম্ভব? ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারসাইড ক্যাম্পাসের নতুন গবেষণা বলছে, মেক্সিকো বেসিনের (উপত্যকার) পাহারগুলোকে অ্যাজটেকরা সোলার অবজারভেটরি হিসেবে কাজে লাগাত। সিয়েরা নেভেদার পাহাড়ের চুড়োয় ঠিক কোন মাসে কোন ঋতুতে কখন সূর্যোদয় হচ্ছে সেটার পাই-টু-পাই হিসেব রাখত তারা।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক এক্সকুয়েল এজকুরা। তাঁর ভাষায়, সে যুগের বাসিন্দারা একটামাত্র নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে পূর্বদিকে তাকিয়ে একটার পর একটা দিনের উপর লক্ষ্য রাখত। বছরের ঠিক কোন সময় চলছে সেটা বলার জন্যে সূর্য ওঠা দেখাটাই যথেষ্ট ছিল।