আমেরিকার সরকার নিজের দেশ এবং মানুষকে ভালো রাখার জন্য চেষ্টা করে না- একথাটা নিন্দুকেরাও বলে না। নির্বাচনে রাজনৈতিক রঙবদল সত্ত্বেও সে দেশের মূল কাঠামোতে খুব একটা বদল আসে না। যেমনটা আমরা প্রায়ই দেখে থাকি আমাদের দেশে।
“জলবায়ু পরিবর্তন” আমাদের দেশে এখনও আলোচনার স্তরে থাকলেও বহুদেশে তা সরকারী বিধিনিষেধ এবং কাজের মধ্যে চলে এসেছে। এ ব্যাপারে অগ্রণী হচ্ছে চীন এবং আমেরিকা। জো বাইডেন আর প্রেসিডেন্ট থাকুন কিংবা না থাকুন, আশা করা যাচ্ছে সে দেশে এবছর বসন্তের (ওদেশের মার্চ থেকে জুন মাস) মধ্যে লাগু পরিবেশের আইনকানুন প্রকৃতিকে উষ্ণায়ন এবং কার্বনের হাত থেকে ভবিষ্যতে রক্ষা করবে। যে দিকগুলোতে নজর দেওয়া হচ্ছে তা হল-
১) ইলেকট্রিক গাড়ী। ওদেশের পরিবেশ রক্ষার এজেন্সী (এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশান এজেন্সী) যে পরিকল্পনা করেছে তাতে ২০৩২ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশী গাড়ী যাতে ইলেকট্রিক হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এই মুহুর্তে এই হার ৭ শতাংশ। শুধু এটা করেই ৭০০ কোটী টন কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবেশে বেরিয়ে আসা কমানো যাবে, ফী বছর।
২) বিদ্যুৎচুল্লীর থেকে বেরোনো দূষণ কমানো। আমরা যখন কয়লার পিছনে ছুটছি প্রকৃতির বুক নিঙড়ে নিয়ে, তখন ওদেশে নজর প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ তৈরী। ২০৩৯ সালে সেদেশে কয়লা পোড়ানোর ইতি হতে চলেছে।
৩) মিথেন লিক বন্ধ করা।
৪) অ্যাসবেস্টসের বিশেষ ধরণ, যার নাম ক্রাইসোটাইল- তার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা।
৫) পারফ্লুরোএলকিল এবং পলিফ্লুরোএলকিল জাতের রাসায়নিক যাতে জলে না থাকে তা নিশ্চিত করা। বাচ্চাদের খেলনাতেও এগুলো থাকে। এরা বিশেষভাবে শারীরিক ক্ষতি করে।
৬) বিলুপ্তির পথে যে প্রাণীগুলো আছে তাদের রক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া।
৭) রাসায়নিক দ্রব্য তৈরীর কারখানার বর্জ্যে নজর।
উল্লেখ করা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছাই এ ব্যাপারে আসল ভূমিকা পালন করবে। আমরা এখনও ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারছিনা- পোড়াচ্ছি কয়লা, কাটছি গাছ। উত্তাপ, শুধু উত্তাপই বেড়ে চলেছে এ পৃথিবীতে।