পোল্যান্ড রিপোর্ট করেছে, তাদের দেশের একটা বিশাল এলাকা জুড়ে বার্ড ফ্লুতে প্রচুর বিড়াল আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার জানিয়েছে, এক্ষেত্রে মানুষের সংক্রমণের ঝুঁকি কম রয়েছে। এই সংস্থার বক্তব্য অনুসারে পোলিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গত মাসে সারা দেশে অস্বাভাবিক বিড়ালের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। কিছু বিড়ালের ক্ষেত্রে শ্বাস নিতে অসুবিধা, রক্তসহ ডায়রিয়া এবং স্নায়বিক লক্ষণ সহ গুরুতর উপসর্গ তৈরি হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত অবনতি এবং মৃত্যু হয়েছে। ৪৬ টা বিড়াল আর ১ টা বন্দী বনবিড়ালকে পরীক্ষা করে জানা গিয়েছিল, তার মধ্যে ২৯ টা প্রাণী H5N1 বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৪ টা প্রাণীকে ইউথেনসিয়া দেওয়া হয়েছে এবং আরো ১১ টা প্রাণী মারা গেছে।
১২ ই জুলাই পর্যন্ত, সংক্রামিত বিড়ালের সংস্পর্শে আসা কোনও মানুষের উপসর্গের খবর পাওয়া যায়নি। বিড়ালের মালিক, পশুচিকিত্সক এবং অন্যান্য যারা ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার না করে H5N1-সংক্রমিত বিড়ালদের আরও নিয়মিত সংস্পর্শে এসেছেন বা আসতে পারেন তাদের বিশেষ ঝুঁকি নেই বলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।
মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ বেশ বিরল, তবে যদি সংক্রমণ হয়, সেক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, মৃত্যুও হতে পারে, এমনকি মৃত্যু হার উচ্চ থাকে। মানুষের H5N1 সংক্রমণ সাধারণত সংক্রামিত জীবিত বা মৃত পোলট্রি বা দূষিত পরিবেশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে আসার ফলে হয়ে থাকে।
পোল্যান্ডের ক্ষেত্রে বিড়ালদের ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার উৎস এখনও জানা যায়নি, এই প্রাণীদের মড়ক লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে। ২০২১ সালের শেষ দিকে ইউরোপে সবচেয়ে বড়ো বার্ডফ্লু-তে মড়ক দেখা গিয়েছিল, যা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই প্রথম স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে এই মড়ক দেখা গেল।