ক্রমাগত চাপের মধ্যে কাজ করতে করতে মানুষের মন প্রায়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। কখনও বা দীর্ঘকালীন চাপের ফলে মনের আনন্দ যায় তলিয়ে, এসে পড়ে ‘ডিপ্রেশন’। কিছুই ভালো লাগে না তখন। এটাই ভাবা হয় যে মন খারাপের অসুখ মনের মধ্যেই তৈরী হয়। কিন্তু মনের সাথে পেটের যোগাযোগের হদিশ বিজ্ঞানীরা বহুদিন আগে পেলেও তার সামান্য তথ্য পাওয়া অতটা সহজ নয়। পেটের নিজের মধ্যেই যেন একটা আস্ত মন বসে থাকে। বার্সিলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়টি তলিয়ে দেখার জন্য ইঁদুরের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। তাদের গবেষণায় ব্যবহার করা হয়
“ফটো বায়োমডুলেশান” নামের এক পদ্ধতিতে লেসার, এল ই ডি প্রভৃতি সূত্র থেকে উঠে আসা চুম্বক শক্তি। এই পদ্ধতিতে এক বিশেষ ধরণের আলোর অংশ পৌঁছে দেওয়া হয় টিস্যুতে। এর প্রয়োগ লাগাতার না করে তা এমনভাবে করা হয় যাতে টিস্যু গরম না হয়ে পড়ে। জার্নাল অফ অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারস্ এর ১লা জুন সংখ্যায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় ইঁদুরের পেট এবং হিপ্পোক্যাম্পাসে (ব্রেনের অংশ) দিনে ৬মিনিট করে ৩সপ্তাহ ফটো বায়োমডুলেশনের যন্ত্র থেকে আলো দেওয়া হয়। এর ফলে দেখা যায় যে ব্রেনের নির্দিষ্ট সার্চ-১ প্রোটিন এবং অন্ত্রের মধ্যে বসবাসকারী জীবাণুগুলির ঘনত্বের পরিবর্তন হচ্ছে। তার সাথেই হচ্ছে মনের ভাবের উন্নতি।
এটা ভাবা হয় যে শুধু ওষুধ দিয়ে যাদের ডিপ্রেশান সারানো যাচ্ছে না, এরকম রোগীদের ক্ষেত্রে রোগীদের ফটো বায়োমডুলেশনে কার্যকরী হতে পারে।