সোমালিয়ার মাটিতে আছড়ে পড়েছিল গ্রহাণু। সেটা থেকেই বহির্বিশ্বের পাথরের বড়ো চাঁই বিশ্লেষণ করার সুযোগ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই খণ্ড থেকেই এমন দুটো নতুন খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলো এর আগে পৃথিবীর প্রকৃতিতে দেখা যায়নি।
ইন্টারন্যাশনাল মাইনেরোলজি অ্যাসোসিয়েশানর তরফ থেকে নতুন দুই খনিজের নামকরণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য তৃতীয় একটার গবেষণায় বর্তমানে নিয়োজিত আছেন ঐ সংস্থার বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার থেকে গ্রহাণু আর উল্কার গঠন সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নতুন বিষয় উঠে আসতে পারে।
সোমালিয়ার এল আলি শহরে এই মহাজাগতিক পাথরখণ্ডের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেই দুটো খনিজের নাম দেওয়া হয়েছে এলাইট আর এলকিন্সট্যানটোনাইট। ক্যানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক ক্রিস হার্ডের তত্ত্বাবধানে আবিষ্কার ও নামকরণের ঘোষণাটা করা হয়েছে। স্পেস এক্সপ্লোরেশান সিম্পোসিয়ামে গত ২১শে মার্চ প্রদর্শিত হয়েছিল পাথর ও তার ভেতরকার রসায়নের তথ্যগুলো।
লোহা, ফসফরাস আর অক্সিজেনের সংমিশ্রণে গঠিত এই খনিজ যৌগদুটো। এর মধ্যে এলকিন্সট্যানটোনাইট খনিজটার নাম দেওয়া হল অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত বিজ্ঞানী লিন্ডি এলকিন্স-ট্যান্টনের নামে।