পিঁপড়েরা যখন খাবারের সন্ধানে ইতস্তত ঘুরছে, তখন তাদের ছন্নছাড়া মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে ব্যাপারটা মোটেই তেমন না। বরং পাহাড়ি পিঁপড়েদের গতিবিধি প্রমাণ করে তাদের গতিপথ কোনভাবেই উদ্দেশ্যহীন নয়।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীর মতে, পিঁপড়েদের বিক্ষিপ্ত চলাফেরা যতই আঁকাবাঁকা মনে হোক, সেটার মধ্যে একটা নিয়মনিষ্ঠ অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া রয়েছে। ডঃ স্টেফান পোপ বলছেন, আগে মনে করা হত কাঙ্ক্ষিত খাদ্যবস্তুর সঠিক অবস্থান না জেনেই বুঝি পিঁপড়ের দল এদিকওদিক ছোটাছুটি করত। কিন্তু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, টেমনোথোরাক্স রুগালুটাস বা পাহাড়ি পিঁপড়েরা যখন তাদের বাসার কাছাকাছি খাবারের সন্ধানে দলবদ্ধ ভাবে ঘোরাফেরা করে তখন তাদের আঁকাবাঁকা গতির মধ্যেও নির্দিষ্ট যুক্তি থাকে। অর্থাৎ, একেকটা পিঁপড়ে যখন ডানদিক বা বামদিকে ঘুরে যায়, তখন সেটা শুধু মসৃণই নয় ‘সুচিন্তিত’।
ডঃ পোপ ও তাঁর সহকর্মীরা পিঁপড়ের গতিবিধিকে নদীর মতো ‘আঁকাবাঁকা’ বলে ব্যাখ্যা করছেন। সাথে এটাও যোগ করছেন, নদী যেমন তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায় তেমন পিঁপড়েরাও তাদের খাদ্যের কাছে চলে যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আপাতভাবে ট্যারাবাঁকা গতিপথে আসলে অনেকটা জমিতে খোঁজ করার কাজটা দক্ষভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। অর্থাৎ, একই জায়গায় একাধিক বার অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে না। এই কারণেই গবেষকরা পিঁপড়েদের ‘স্মার্ট’ বলছেন।