পাখিরা কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে সেটা অনেকটাই নির্ভর করত ডাইনোসরদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক মতামতের উপর। কিন্তু নতুন এক খেচর ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে প্রচলিত ধারণা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
আমরা যেসব পাখিদের দেখি তাদের মধ্যে দুটো আন্তঃশ্রেনি। এক, নিওগন্যাথ আর অন্যটা, প্যালেওগন্যাথ। আজকের ১১,০০০ পক্ষী প্রজাতির মধ্যে প্রায় সবগুলোই নিওগন্যাথ অর্থাৎ যাদের চোয়াল উন্নত। এই শ্রেণির বৈশিষ্ট্য হল চোয়ালের হাড়ের সংখ্যা কম। বদলে একটা সচল সন্ধি রয়েছে মুখের মধ্যে। এটার সাহায্যেই পাখির চঞ্চু এতও দক্ষ হয়ে উঠেছে। তাতে বাসা তৈরি, ছানাকে বড়ো করা, খাবার জোগাড় করতে এমনকি আত্মরক্ষাতেও সুবিধে হয়।
কিন্তু প্যালেওগন্যাথদের ক্ষেত্রে চোয়াল আর মুখের গঠন পুরাতন সরীসৃপ ধাঁচের। মুখগহ্বরের উপরের তালুর হাড়গুলো ছোট ছোট আর বিক্ষিপ্ত। এমু, উটপাখি আর কিউয়ি – এই কয়েকটা পাখির প্রজাতিই এই শ্রেণিতে পড়ে।
এতদিন অবধি জীবাশ্মবিদ আর প্রাণীবিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পরেই আধুনিক সচল চঞ্চুর বিবর্তন ঘটেছিল। এই মতামত ১৫০ বছর ধরে প্রচলিত। ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী থমাস হাক্সলি ১৮৬৭ সালে পাখিদের মধ্যে ‘নতুন’ আর ‘পুরনো’ চোয়াল হিসেবে দুটো আলাদা শ্রেণি প্রস্তাব করেছিলেন। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন হাক্সলে।