বিশ্বব্যাপী COVID-19 মহামারী আমাদের দেখিয়েছে যে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। বর্তমানে, বিজ্ঞানীরা এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন যা ভবিষ্যতে মহামারীর বিপজ্জনক ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে আমাদের আগে থেকেই সতর্ক করে দেবে। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন- আর্লি ওয়ার্নিং অ্যানোমালি ডিটেকশন (EWAD) সিস্টেম। SARS-CoV-2 এর বিস্তার থেকে তথ্য নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় এই সিস্টেম আগে থেকে বলে দিতে পারে পরিব্যক্তির মাধ্যমে কোন নতুন ‘ভেরিয়েন্ট অফ কনসার্ন’-এর আবির্ভাব ঘটবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ এবং নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা EWAD তৈরির জন্য মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। রোবোটিক্স’ সহ AI এর বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে, তবে সর্বাধিক পরিচিত ফর্মের মধ্যে অন্যতম হল ‘মেশিন লার্নিং’। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শেখা যায় কীভাবে নতুন কোনো ক্ষেত্রে কিছু জানা তথ্য ও অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করা হয়। মেশিন লার্নিং-এ, কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে প্রশিক্ষণের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় যাতে প্যাটার্ন চিহ্নিত করা যেতে পারে, অ্যালগরিদম তৈরি করা যায় এবং তারপর সেই প্যাটার্ন কীভাবে ভবিষ্যতে অজানা পরিস্থিতিতে কার্যকর হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যায়।
সংক্রমণ ছড়ানোর সাথে SARS-CoV-2 রূপ ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর হার বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা, AI-তে, SARS-CoV-2 ভেরিয়েন্টের জেনেটিক সিকোয়েন্স সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। সফ্টওয়্যারটি ভাইরাস অভিযোজিত হওয়ার সাথে সাথে জেনেটিক পরিবর্তন সনাক্ত করতে সক্ষম এবং দেখা গেছে সংক্রমণের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। এখানে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কৌশলটিকে গাউসিয়ান প্রসেস বেসড স্পেসিয়াল কোভেরিয়েন্স বলা হয়। এটি মূলত তথ্যের গড় ও তাদের মধ্যে সম্পর্ক ব্যবহার করে বিদ্যমান তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন তথ্যের পূর্বাভাস দেয়। এখানে ব্যবহৃত সিস্টেমটি বিজ্ঞানীদের ভাইরাস জীববিজ্ঞানের মূল বিষয় সম্পর্কে বুঝতে সাহায্যে করে এবং তাদের মতে এটি চিকিত্সা ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ক্রিপস রিসার্চের বেন ক্যালভারলি বলেছেন যে এই সিস্টেম এবং তার প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ভবিষ্যতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।