পরিকল্পনাটা যখন ইতালিতে তখন বিজ্ঞানের মধ্যেও যে নন্দনতত্ত্বের মিশেল থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। পোড়া মাটির টালির মতো দেখতে, কিন্তু জিনিসটা আসলে বাড়ির ছাতে সোলার প্যানেল। শহরের দিকচক্রবালে যাতে রঙের বেমক্কা ভুল না হয় সেই কারণেই এই অভিনব উদ্যোগ।
পম্পেইয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যানে আর পর্তুগীজ শহর ইভোরাতে স্থাপত্যের উৎকর্ষের সাথে বিজ্ঞানের প্রয়োগকে মেলানো হয়েছে এভাবেই। প্রত্যেক বছর সারা পৃথিবী থেকে কম করে ৩.৫ মিলিয়ন পর্যটক ভিড় জমান পম্পেইতে। ৭৯ খৃষ্টাব্দে ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতে এই মহান নগরী এবং তারই উপকণ্ঠে হেরাকুলানিয়াম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এটাই বিদেশিদের কাছে মূল আকর্ষণের জায়গা। কিন্তু পর্যটকেরা এখনও এই বাহারি সোলার প্যানেল চাক্ষুষ করেননি।
পম্পেই আরকিওলজিকাল পার্কের কর্ণধার গ্যাব্রিয়েল জাকট্রিয়েগেল বলছেন, রোমানরা যে পোড়া মাটি ব্যবহার করত সোলার প্যানেলগুলো ঠিক তেমনটাই দেখতে। আবার ফ্রেস্কো বা দেওয়াল চিত্রগুলো ঐ বিদ্যুতেই আলোকিত হবে। এই সমাধানে খরচের খাতা থেকেই সঞ্চয় তৈরি করা যাবে আর নতুন শক্তির ব্যবহারের দিকে আরেক পা এগোনো হবে। কয়েক মিলিয়ন ইউরো বেঁচে যাবে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে, আশা করছেন গ্যাব্রিয়েল।