পৃথিবীর কোণায় কোণায় মানুষ পৌঁছে গেছে। হয় নিজে পায়ে হেঁটে, নয়তো প্রযুক্তির হাত ধরে। কিন্তু সমুদ্রের নিচের দুনিয়াটা মানুষকে এখনও ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রের তলদেশের যতটা ক্ষেত্রফল, তার চার ভাগের একভাগও ম্যাপ করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ, নীল জলের নিচের জগৎটা নিয়ে আমাদের যে জ্ঞান তাতে বিস্তর ফাঁকফোকর।
কিন্তু জলের নিচেটা যদি মসৃণ না হয়। দুর্ঘটনা ওঁত পেতে আছে পদেপদে। বিপদের নাম ডুবোপাহাড়। এইগুলো প্রাচীন সময়ে সৃষ্টি হয়েছিল আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্যে। সেইসব আগ্নেয় পাহাড়ের উচ্চতা কিন্তু চোখের আড়ালে বেড়ে যেতে পারে কয়েকশো মিটার অবধি।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস ইন্সটিটিউশান অফ ওশিয়ানোগ্রাফি-র ভূবিজ্ঞানী জুলি গেভরগিয়ান গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওনার সাথে ছিলেন একদল বিজ্ঞানী। কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত প্রেরিত তথ্য খুঁটিয়ে তাঁরা বলছেন, সমুদ্রের বুকে ১৯০০০-এর বেশি ডুবোপাহাড়ের সন্ধান মিলেছে। গেভরগিয়ান বলছেন, সবার অজান্তেই এতদিন ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছিল এইসব আগ্নেয়পাহাড়। সেগুলো আকারে বিশাল, আর ভবিষ্যতে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে।