বিষধর প্রাণী হিসেবে পাখির কথা আমাদের মনে আসে না। তারা কখনও শান্তির দূত, কখনও বা প্রেমের পয়গম্বর। এমন রোম্যান্টিক বিহঙ্গ জাতটার মধ্যে সবটাই কিন্তু নিরীহ নির্বিষ নয়। পাপুয়া নিউগিনিতে এমন দুটো প্রজাতির হামেশাই দেখা মেলে যারা তাদের পালকের নীচে মারাত্মক অস্ত্র লুকিয়ে রাখে।
রিজেন্ট হুইসলার এবং রুফাস-ন্যাপড বেলবার্ড। প্রথমটার বৈজ্ঞানিক নাম প্যাচিসেফালা শিলেগেলি, দ্বিতীয়টার অ্যালেড্রিয়াস রুফিনুচা। এদের পালকের আড়ালে ব্যাট্রাকোটক্সিন নামের শক্তিশালী নিউরোটক্সিনের খোঁজ মিলেছে। বেশীমাত্রায় হলে, এই বিষের প্রভাবে পেশিতে খিঁচুনি সৃষ্টি হয়, এমনকি প্রায় অবিলম্বে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যেতে পারে। এই চকচকে রংচঙে পাখির পালকে যদিও এই বিষের অন্য একটা বিপাকজাত বিকল্প থাকে। শিকারির জন্য যা একটা নচ্ছার চমক।
যদিও গবেষণা বলছে, এই নিউরোটক্সিনের উপস্থিতিতে কিন্তু ওই দুই প্রজাতির পাখির কোনও ক্ষতি হয় না। ব্যাট্রাকোটক্সিনের মৃদু প্রভাবও বেশ অস্বস্তিকর। কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনবাদী বাস্তুতন্ত্রবিদ কাসুন বোডাওয়াত্তা বলছেন, বিষের প্রভাব দূর থেকে পেঁয়াজ কাটার মতো অনুভূতি দেবে।