উন্নত দেশগুলোতে, এমনকি ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও একশ্রেণীর মানুষ আমিষ খাওয়া ছাড়ছেন। অর্থাৎ, পশুপাখির মাংস ছেড়ে তাদের নির্ভরতা বাড়ছে উদ্ভিজ্জ মাংসের উপর। প্রাণী-মাংসের তুলনায় তা হতেই পারে বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ঠিক কতটা স্বাস্থ্যকর, বা আদৌ কি স্বাস্থ্যকর?
উদ্ভিদজাত মাংস সাধারণ মাংসের মতোই দেখতে, খেতেও অনেকটাই একরকম। অস্ট্রেলীয় গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, এই বিকল্পে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে, কম থাকে নুনের ভাগও। কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে উদ্ভিজ্জ মাংসে।
কিন্তু উল্টোদিকের প্রস্তাবও রয়েছে। জর্জ ইন্সটিটিউট অফ গ্লোবাল হেলথের গবেষকরা এক গবেষণায় দেখিয়েছেন একেবারে অন্য একটা বিষয়। ‘নকল’ মাংসে শর্করার ভাগ বেশি। আবার লোহা, ভিটামিন বি-১২ বা জিঙ্কের মতো খাদ্যগুণ উদ্ভিদজাত মাংসে মিলবে না। এই গবেষণাই সবচেয়ে সাম্প্রতিক।
কসমস পত্রিকাকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে মুখ্য গবেষক মারিয়া শাহিদ বললেন, বাজারে কিন্তু বেকন, সসেজ বা নাগেটসের চাহিদা হুহু করে বাড়ছে। কিন্তু খাবার হিসেবে সেগুলো কতটা উপযুক্ত তা নিয়ে সবিশেষ তথ্য এখনও নেই। প্রাণীজাত মাংসের সাথে তুলনা করে উদ্ভিজ্জ মাংসের খাদ্যগুণ বিচার করা একান্ত দরকারি।