ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে আগ্রাসন মানেই সর্বদা দুর্বল আত্ম-নিয়ন্ত্রণ তা নয় বরং, সফলভাবে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ করেও বড়ো কোনো প্রতিশোধের পথ বেছে নেওয়াও হতে পারে। সফল আত্ম নিয়ন্ত্রণও আগ্রাসনের প্রকাশ হতে পারে।
ভিসিইউ-এর কলেজ অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সায়েন্সেস-এর মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড চেস্টারের নতুন প্রতিবেদন “অ্যাগ্রেশন অ্যাজ সাকসেসফুল সেলফ কন্ট্রোল”, সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনালিটি সাইকোলজি কম্পাস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। চেস্টারের মতে সাধারণত, দুর্বল আত্ম-নিয়ন্ত্রণের ফলে মানুষ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। সেই মুহূর্তের উত্তেজনায়, প্রায়ই আমরা আমাদের সবচেয়ে খারাপ, সবচেয়ে আক্রমণাত্মক আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই। কিন্তু তা সর্বদাই মুদ্রার এক পিঠ।
প্রকৃতপক্ষে, চেস্টারের গবেষণায় দেখা গেছে যে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যক্তিদের আত্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বেশি। চেস্টার আরো বলেন প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিরা অনেক আগে থেকে ভেবেচিন্তে তাদের আচরণ এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণ করেন এবং অতীতে যারা তাকে আঘাত করেছে বলে তিনি মনে করেন তাদের বিরুদ্ধে মিষ্টি প্রতিশোধ নিতে বহু দিন অপেক্ষা করেন। পরে সেই প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তি প্রতিশোধ নিতে কঠিন আঘাত হানেন। এমনকি সাইকোপ্যাথিক ব্যক্তিরাও, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হল হিংসাত্মক অপরাধ করা বিভিন্ন ব্যক্তি, তারা প্রায়শই তাদের কিশোর বয়সে কোনো আঘাত পেয়ে অপেক্ষায় থাকে পরবর্তীকালে অপরপক্ষকে গভীরতর আঘাত করার জন্য। তারা আত্ম-নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের আত্ম নিয়ন্ত্রণের বৈশিষ্ট্যকে মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স পরিচালনা করে। চেস্টারের মতে তাদের এই গবেষণা তাই নতুন ভাবনাচিন্তার আঙ্গিকে এগিয়ে চলেছে যে আগ্রাসন কেবল বাধাহীন আবেগ নয় বরং প্রায়শই পরিশীলিত এবং জটিল মানসিক প্রক্রিয়ার ফল ।