জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে গরম। আর শহরগুলো যেন তাপের আকর, তাদের রাস্তা, কংক্রিটের জঙ্গল যে তাপ নির্গমন করে চলেছে তা শহরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে চলেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যার মোট ৬৮% মানুষ শহরে বাস করবে। অতএব আরও বাড়ি, আরও রাস্তা, পরিবহন, মানুষের গরমের কষ্ট চরমে নিয়ে যাবে।
সায়েন্স -এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে, ইউশিকাগো প্রিতজকার স্কুল অফ মলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই)- এর গবেষকরা এমন পরিধানযোগ্য কাপড়ের কথা বলেছেন, যা শহুরে বাসিন্দাদের পোশাক, বাড়ি এবং গাড়িতে ব্যবহার করা যাবে। এই ফ্যাব্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ব্যাপক তাপের প্রভাব থেকে মানুষকে বাঁচতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে। দেখা গেছে অ্যারিজোনায় দিনের বেলা রোদে খেলাধুলার জন্য ব্যবহৃত ব্রডব্যান্ড এমিটার ফ্যাব্রিকের তুলনায় এই উপাদান ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠাণ্ডা আবার সাধারণত শার্ট এবং পোশাকের জন্য ব্যবহৃত বাণিজ্যিকীকৃত সিল্কের চেয়ে এটা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতল। গবেষকদের আশা এই ফ্যাব্রিক ব্যবহার করলে তা তাপের কারণে অসুস্থ হওয়া কিছুটা রোধ করবে।
এই ফ্যাব্রিক সরাসরি যেমন সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করবে, বাড়ি, রাস্তা থেকে যে তাপ নির্গমন হবে তাও প্রতিফলিত করবে। সাধারণত কিছুটা ঠাণ্ডা হয় এমন উপাদান, ওপর থেকে আসা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, কিন্তু শহরের ক্ষেত্রে আরও সমস্যা বাড়ি, ঘর রাস্তা থেকে যে তাপ বেরোয় তা চারদিক থেকে মানুষের শরীরকে ঘিরে ধরে। মানুষ সাধারণত পরলে গরম কিছুটা কম লাগবে এমন কাপড়ের উপাদান নিয়ে ভাবে, কিন্তু উপাদান কোন পরিবেশে ব্যবহার হচ্ছে তার ওপরও উপাদানের কার্যকারিতা নির্ভর করে।