ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনস এগার্স আর সেভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিগুয়েল আঞ্জেল হেরাদা। এই দুই বিজ্ঞানী কয়েকশো বছরের পুরাতন এক বৈজ্ঞানিক ধাঁধার সাথে জুড়ে ফেললেন নিজেদের নাম। জলের মধ্যে বুদবুদ যখন উপরদিকে উঠতে থাকে তার গতি এতও অস্থায়ী হয় কেন? প্রশ্নটা পাঁচ শতাব্দী পুরনো, প্রথম তুলেছিলেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। এবার এই আপাতভাবে সাধারণ এই ঘটনার সদুত্তর দিলেন ঐ দুই বিজ্ঞানী।
প্রোসিডিংস অফ দ্য ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স পত্রিকায় বেরিয়েছে বিশদ গবেষণাপত্র। মনে করা হচ্ছে, কঠিন আর গ্যাস দুটোর মতোই আচরণ করে যেসব কণা তাদের গতি বুঝতে সাহায্য করবে এই ব্যাখ্যা। ভিঞ্চি অতদিন আগেই লক্ষ্য করেছিলেন, জলের মধ্যে বুদবুদের গতিবিধি মোটেই সরলরেখায় চলে না। বরং পর্যায়ক্রমে সেটা কুণ্ডলীর মতো হয়ে যায় বা জিগজ্যাগ প্রকৃতির হয়। কিন্তু কোনও কারণ এতদিন অবধি খুঁজে পাননি কোনও বিজ্ঞানীই।
এই দুজন গবেষক একটা বিশেষ প্রক্রিয়া প্রস্তাব হিসেবে রেখেছেন। জলের মধ্যে বুদবুদের সঞ্চারপথ পর্যায়ক্রমে বদলায়। তাতে বুদবুদের বক্রতলেরও পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ অনেকগুলো বুদবুদের মধ্যে যখনই একাধিক বুদবুদের আয়তন পাল্টে যায় তখনই বাকি বুদবুদের গতিপথের আকারও সেই অনুযায়ী পাল্টে যেতে থাকে। ফলে গতি কখনই সরলরেখায় হয় না।