ডায়েরি থেকে কোনও মানুষের জীবন এবং সেসময়ের পারিপার্শ্বিক অবস্থান জানা যেতে পারে। কিন্তু কোনও জন্তুর দাঁত থেকে তার জীবন-ইতিহাস বা প্রতিবেশের কথা জানা যেতে পারে? সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল ‘ইউনিভার্সিটি অফ আলাস্কা মিউজিয়াম’ -এর ১৭০০০ বছরের পুরোনো ম্যামথের ৬ ফুট দাঁতের ফসিল গবেষণা করে প্রায় চার লক্ষ সুক্ষাতিসূক্ষ তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ম্যমথ বাঁচা অবস্থায় প্রতিদিনই দাঁতে নতুন স্তর যুক্ত করত। দীর্ঘ দাঁত ভেঙেই স্তরানুযায়ী কালানুক্রমিক তথ্য পাওয়া যায়। এ যেন জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি দাঁতের মধ্যেই ডায়েরি লেখা। গবেষকরা আগেই সহস্রাধিক ইঁদুরের দাঁত পরীক্ষা করে আলাস্কা অঞ্চলের আইসোটপিক ম্যাপ তৈরি করেছিলেন। এবার ম্যমথের দাঁত থেকে পাওয়া তথ্য সায় দিচ্ছে সে তথ্যেই। আলাস্কার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছিল ম্যমথটি। অন্তত উত্তর মেরুবৃত্ত ২৮ বছরের জীবনে দুবার অতিক্রম করেছিল। জানা গেছে ম্যামথটি ছিল পুং লিঙ্গের এবং সেই প্রজাতির শেষ প্রাণী। জীবনের শেষ শীতে আলাস্কার উত্তরে উত্তর মেরুবৃত্তের কাছে অনাহারে মৃত্যু হয় ম্যামথটির।
ইউনিভার্সিটি অফ আলাস্কার গবেষক ম্যাথু উলার বলেছেন, দাঁত থেকে পাওয়া তথ্যে সেসময়ের মেরুবৃত্ত থেকে এসময়ের উত্তর মেরুবৃত্ত কতটা পরিবর্তিত সেকথা তো জানা যায়ই, সাথে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র কিভাবে পরিবেশে প্রভাব ফেলে জানা যায় সেকথাও।