রিচার্জ করা যায় এমন ব্যাটারির সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় সুপারক্যাপাসিটার। ক্যাপাসিটার এমন এক ব্যবস্থা যা শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে পারে। কিন্তু আজকাল যেসব সুপারক্যাপাসিটার বাজারে চলছে, তাদের শক্তি-ঘনত্ব কম, ফলে বেশিদিন টেকে না সেগুলো। ‘অ্যাংওয়ান্দে কেমি’ নামের জার্নালে একটা নতুন বিকল্প ব্যবস্থার প্রস্তাব এসেছে।
যদি সুপারক্যাপাসিটারের ভেতর ‘শ্বাস-নেওয়া’ তড়িৎদ্বার থাকত? ভাবতে অবাক লাগলেও বিজ্ঞানীরা অনুপ্রেরণা নিয়েছেন জলচর টিকটিকির থেকে। জলের নিচে ডুব দেওয়ার আগে এই টিকটিকি নিজের সাথে বুদবুদ জুড়ে নেয়। তাতে জলের নিচে শ্বাস নিতে সুবিধে হয়। চীনের সাংহাইতে অবস্থিত ইষ্ট চায়না ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চার গবেষকের কীর্তি। তাঁরা হলেন – লং চেন, চেং লিয়ান, শিয়াংওয়েন গাও আর চুনঝং লি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দরকারি সাহায্য এসেছিল।
অ্যানোলিস প্রজাতির লিজার্ড ডাঙায় বাস করলেও খাবারের সন্ধানে জলের নিচে তাদের নামতেই হয়। তখন তাদের মাথায় থাকা আঁশের মধ্যে বায়ুর বুদবুদ সাথে করে তারা জলের নিচে ডুব দেয়। গবেষকরা প্রথমে ৩ ন্যানোমিটার ব্যাসের কার্বন ন্যানোটিউব দিয়ে তড়িৎদ্বার বানিয়েছেন। এই ন্যানোটিউব ছিদ্রালু অর্থাৎ ভেতরে বাতাস থাকতে পারে। এই তড়িৎদ্বারে বাতাসের বদলে ক্লোরিন গ্যাস ভরে নিতে হবে। তারপর সাধারণ নুন বা সোডিয়াম ক্লোরাইডকে ইলেক্ট্রোলাইট বা তড়িৎবিশ্লেষক হিসেবে ব্যবহার করলেই তৈরি হয়ে যাবে সেই সুপারক্যাপাসিটার।