কল্পনা করলেও হাড় হিম হয়ে যেতে পারে – ডাইনোসরের পেটে আস্ত স্তন্যপায়ী। কিন্তু এতদিন যা শুধু কল্পনাতেই ছিল এবার প্রথমবারের জন্য সেই ঘটনার প্রমাণ পেলেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটা দল। কুড়ি বছর আগে সংগ্রহ করা একটা জীবাশ্ম ফের খতিয়ে দেখেই এমন সিদ্ধান্তে এলেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাপত্র সম্প্রতি বেরিয়েছে ‘ভার্টিব্রেট প্যালেওন্টোলজি’ নামক পত্রিকায়। ২০০০ সালে চীনদেশের পশ্চিমে অবস্থিত জিউফোট্যাং অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত মাইক্রোর্যাপ্টর ঝাওইনাস নামের জীবাশ্ম আবার পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। সেই সময়ে, পুরনো গবেষক দল জীবাশ্মটাকে ১২০ মিলিয়ন বছরের পুরনো বলে শনাক্ত করেছিল। বেশিরভাগ অংশই হারিয়ে গেলেও পাঁজরের হাড় কিন্তু ঠিকঠাক অবস্থাতেই ছিল তখনও পর্যন্ত।
মাইক্রোর্যাপ্টর তিনপেয়ে ডাইনোসর। এরা মাংসাশী, যদিও আকারে বেশ ছোট। এই খুদে ডাইনোসর বাস করত গাছের উপর, আজকালকার বেড়ালদের মতো মাপের। কারোর কারোর আবার পালকও ছিল।
নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরের জীবাশ্মের মধ্যে ছোট্ট একটা স্তন্যপায়ী প্রাণীর জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। স্তন্যপায়ীর পায়ের একটা অংশ ডাইনোসরের পাঁজরের মধ্যে দিকে উঁকি মারছিল। বোঝা যাচ্ছে, ইঁদুরের আকারের ঐ স্তন্যপায়ীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছিল মাইক্রোর্যাপ্টর।