স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচন্ড গরমের মধ্যে আর গোটা শরীর ঢাকা ‘পিপিই কিট’ পরতে হচ্ছে না! যাঁরা কোভিড পরীক্ষা করাতে আসছেন তাঁদের দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছে যন্ত্র। আসলে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে টেলিমেডিসিনে। এই ব্যবস্থা চালু করে অবাক করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ট হাসপাতাল! তারা এমন কোভিড পরীক্ষার কেন্দ্র তৈরি করেছে, যেখানে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে কোভিডে আক্রান্তদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক কাটিয়ে দিতে পারে নতুন এই নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে আমেরিকার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ক্লাসের একঘেয়েমি কাটিয়ে আমেরিকায় আবার স্কুলগুলো খোলার পথে। কিন্তু একইসঙ্গে করোনার তৃতীয় ঢেউ ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের হুমকি! বিজ্ঞানীরা যার সম্পর্কে বলছেন, মারাত্মকভাবে এই ভ্যারিয়ান্ট মানুষের শরীরে ঢূকে পড়তে পারে। তাই স্কুলগুলোও বসে নেই। তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারও কারও প্রস্তুতিতে থাকছে অভিনবত্বও।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অ্যালিসা বিলিন্সকি জানিয়েছেন, একটি যন্ত্র তৈরি করার চেস্টা হচ্ছে। যে যন্ত্রটির সাহায্য নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে পা রাখার পর, প্রত্যেকদিন তাদের ওখানেই করোনার পরীক্ষা করা যাবে! পরের দিন সেই স্কুলে এসে তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও জানতে পারবে! গতবছর থেকেই অভিনব এই যন্ত্র তৈরির প্রস্তুতি চলছে। গতবছর ছাত্র- ছাত্রীদেরদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। এবারও ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন স্কুলগুলি। তাই চেস্টা চলছে দ্রুত এই যন্ত্রটি তৈরি করে অন্তত পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করা যায়।