গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে শহুরে এলাকায় টায়ার ক্ষয়ে তার থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের এক অন্যতম কারণ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে বৃষ্টিপাতের সময়, তুষার ঝড় জলের স্রোতে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত করা হয়েছে তার প্রায় ৯৫% এসেছে টায়ার ক্ষয়ের মাধ্যমে। প্রতি লিটার জলে ২ থেকে ৫৯টি কণা চিহ্নিত করা হয়েছে।
মাইক্রোপ্লাস্টিক দ্বারা জলপথের দূষণ একটি পরিবেশগত উদ্বেগের কারণ। এদের জমা হওয়ার কারণে জলজ জীব এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টি ও তুষার ঝড়ের জলে সাধারণত বহু জিনিস মিশে থাকে যেমন পলি, রাসায়নিক, জৈব বা বিভিন্ন দূষিত পদার্থ। আর এই বৃষ্টির ও তুষার ঝড়ের জলে মিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা শহরাঞ্চল থেকে স্থানীয় জলাধারে মিশে যায়। কিন্তু আজ অবধি, শহুরে এলাকায় বৃষ্টির জলে মাইক্রোপ্লাস্টিক, বিশেষ করে টায়ারের কণার পরিমাণ সম্পর্কে বিশেষ গবেষণা হয়নি। আর সেই কারণেই কীভাবে এই দূষণ রোধ করা যায় সে সম্পর্কেও সেভাবে ভাবা হয়নি। টায়ার রাবারে ২৫০০ রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা অন্যান্য প্লাস্টিক পলিমারের তুলনায় ব্যাকটেরিয়া এবং মাইক্রোঅ্যালগির জন্য বেশি বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়। তবে বৃষ্টির জলে টায়ারের রাবার কণার পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করা প্রয়োজন আর সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ মুক্ত করার প্রক্রিয়া ভাবার জন্য এই ধরনের দূষণের পরিমাণগত তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা বলেছেন যে কিছু জলাভূমি নির্মাণ করা হয়েছে যার মধ্য দিয়ে এই বৃষ্টি ও তুষার ঝড়ের জল পাঠানো হয় এবং সেখানে পলির সঙ্গে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশে যায় ও ভূমির সঙ্গে রয়ে যায়। এছাড়াও বৃষ্টি ও তুষার ঝড়ের জল ধরার জন্য এক ধরনের ক্যাপচার ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে যা জলের সঙ্গে পরিবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিক টায়ার কণার পরিমাণ প্রতিরোধ বা কমাতে সম্ভাব্যভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।