বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অন্তর্গত ক্যান্সার সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) ঘোষণা করেছে অ্যাসপার্টেম বা চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত মিষ্টি বড়ি বা পাউডার মানুষের শরীরে ক্যান্সার ডেকে আনতে পারে। অ্যাসপার্টেম নামে এই কৃত্রিম মিষ্টি চিনির চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি, কিন্তু এর জন্য শরীরে কোনো ক্যালরি যোগ হয় না। এই অ্যাসপার্টেম কোক জিরো, ডায়েট কোক, পেপসি ম্যাক্স ও অন্যান্য কিছু কার্বনেটেড পানীয়তে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও চুইংগাম, আইসক্রিম এমনকি চিনির বিকল্প এবং চিনিবিহীন মিষ্টিতে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের চাহিদা মেটাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই মিষ্টি বড়ি। দই এবং মিষ্টির মতো খাদ্য পণ্যগুলিতেও অ্যাসপার্টাম থাকতে পারে তবে এটি উষ্ণ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল নয় তাই বেকড পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত হয় না।
ইউরোপে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় ১১ বছর ধরে ৪৭৫০০০ জন ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে প্রতি সপ্তাহে একটি করে অতিরিক্ত ডায়েট সফট ড্রিঙ্ক পানের ফলে তাদের শরীরে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আবার আর একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা যদি প্রতি সপ্তাহে দুটোর বেশি ডায়েট সোডার ক্যান পান করে তবে তাদেরও লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। অপর একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ব্যক্তিরা কোনোদিন ধূমপান করেনি তাদের ক্ষেত্রেও দিনে দুটির বেশি প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি পানীয় খেলে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি দেখা যায়। সাধারণত যে খাবারগুলিতে অ্যাসপার্টাম পাওয়া যায় সেগুলো প্রক্রিয়াজাত বা অতি-প্রক্রিয়াজাত, যেগুলো সম্প্রতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হিসাবে দেখানো হয়েছে। দেখা গেছে অ্যাসপার্টাম সহ অন্যান্য কৃত্রিম মিষ্টি স্বাদের বড়ি বা সুইটনার মানুষের চিনির প্রতি আকর্ষণ বা লোভ বাড়িয়ে দেয়, তাদের আরও বেশি খাবার খেতে ইচ্ছে করে, আর তাই তাদের ওজন আরও বেড়ে যেতে পারে।