গ্রানাইট দ্বীপের ছোট পেঙ্গুইনদের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২২য়ে। তাদের জন্য ব্যবহারযোগ্য গর্ত (বারোজ) পড়ে আছে মাত্র ১১টা। ঐ দ্বীপে শেষ প্রাণীশুমারিতে এমন হতাশাজনক তথ্যই উঠে আসছে।
পুরনো নথিপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে গত দশক থেকেই বিশেষ জাতের এই পেঙ্গুইনদের সংখ্যা মোটামুটি এইরকমই রয়েছে। বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। অথচ ২০০০ সালের আগে পর্যন্ত গ্রানাইট আইল্যান্ড হরেক রকম সামুদ্রিক পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে থাকত। স্থানীয় পর্যটন শিল্পের জন্যেও লাভজনক ছিল। গ্রানাইট দ্বীপ অ্যাডিলেডের দক্ষিণে ফ্লেওরিও উপকূল অঞ্চলে অবস্থিত।
গবেষকরা বলছেন ২০০৯ সালে শুরু হওয়া এক দশক জুড়ে চলা ‘মিলেনিয়াম ড্রট’ বা শতাব্দীর খরা এই ঘটনার জন্যে দায়ী। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছিল। বাদ যায়নি গ্রানাইট দ্বীপটাও। সামুদ্রিক পাখিদের বসতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে এই খরাই।
ফিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুতন্ত্রবিদ ডঃ ডিয়ান কলোম্বেলি-নেগ্রেল একটা অভিনব গবেষণা করেছেন পেঙ্গুইনদের পরিবর্তন নিয়ে। গবেষণায় নদীস্রোতের সাথে পেঙ্গুইনদের মুখ্য শিকার গারফিশ বা সার্ডিন মাছের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক মিলেছে। খরার কারণে নদীর জল যতই শুকিয়ে গেছে ততই এইসব মাছের সংখ্যাও কমেছে। ফলে খাবারের অভাবে কোনওভাবেই আর বৃদ্ধি পায়নি পেঙ্গুইনদের সংখ্যা।
ফ্রন্টিয়ারস ইন মেরিন সায়েন্সে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার খবর। দেখা গেছে মারে মাউথ অঞ্চল থেকে নদীর স্রোত ধীরে ধীরে কমে গেছে, শুকিয়ে গেছে জলও। এটা গ্রানাইট আইল্যান্ড থেকে মোটামুটি ২০ কিলোমিটার দূরে। এই কারণেই পেঙ্গুইনদের বসতি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।