টেস্টটিউব বেবি কথাটা যখন বাজারে আসে, তখন কৌতূহল আর বিস্ময়ের অন্ত ছিল না। তেমনটাই এবারেও হল। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীদের দ্বিধায় রেখেছে গ্রহ নক্ষত্র কিংবা ব্ল্যাক হোলের জন্মরহস্য। এই প্রথম পরীক্ষাগারে কৃত্রিম পরিস্থিতি তৈরি করে সদুত্তর পাওয়া গেল সেই প্রশ্নেরই। কীর্তিটা প্রিন্সটন প্লাজমা ফিজিক্স ল্যাবরেটরির। বিগত দু দশক জুড়ে ঐ ল্যাবের বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমের ফল এটা।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তাত্ত্বিক স্টিভেন বালবাস আর জোন হাওলে সর্বপ্রথম ১৯৯১ সালে একটা নতুন ধারণা পেশ করেছিলেন গ্রহতারাদের জন্মের রহস্য নিয়ে। সেই তত্ত্ব ‘দ্য স্ট্যান্ডার্ড ম্যাগনেটো-রোটেশানাল ইন্সটেবিলিটি’ নামে পরিচিত। ব্যাপারটা কেমন? প্লাজমা হোক বা তরল ধাতু, যেকোনো প্রবাহী পদার্থের (ফ্লুইড) মধ্যে যদি বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে তাহলে তার ভেতর চৌম্বক ক্ষেত্রও তৈরি হবে। এবং সেই চৌম্বক শক্তি ঐ তরলের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করবে, ঠিক যেমনটা একটা স্প্রিং করে থাকে।
প্রিন্সটন প্লাজমা ফিজিক্স ল্যাবরেটরি-র পদার্থবিদ ইয়িন ওয়াং এইবার সেই পুরনো তত্ত্বকেই পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করলেন। ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারস এবং নেচার কমিউনিকেশন – এই দুই পত্রিকাতেই ওনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গেছে বিজ্ঞানী মহলে। শুধুই ওয়াং না, এরিক গিলসন এবং ফাতিমা এব্রাহিমিও ছিলেন সহকারী গবেষক হিসেবে।