আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটা দল উদ্ভিদের শরীরে এমন এক প্রোটিনের খোঁজ দিলেন যা খরা-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। ‘নিউ ফাইটোলজিস্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র থেকে হয়তো ভবিষ্যতে কৃষিকাজের রূপরেখা তৈরি করা যাবে।
পাতা থেকে গাছের বাকি শরীরে শর্করা আর অন্যসব পুষ্টিদ্রব্যের চলাচল হয় একটা নির্দিষ্ট কলার সাহায্যে। তাকে বলে ফ্লোয়েম। এই ফ্লোয়েম কলার ভেতরেই থাকে ঐ আশ্চর্য প্রোটিন। প্রোটিনটার নাম AtMC3, যা ঐ ফ্লোয়েম কলার ‘কম্প্যানিয়ন সেলস’ নামক এক বিশেষ কোষের মধ্যে উপস্থিত থাকে।
আবার, যখন মাটিতে জলের পরিমাণ কম থাকে তখন গাছের দেহে একটা স্ট্রেস হরমোন সক্রিয় হয়। এটাকে অ্যাবসিসিক অ্যাসিড বা সংক্ষেপে এবিএ বলে। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, এই হরমোনের ক্রিয়াকলাপের সাথে ঐ বিশেষ প্রোটিনের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যেসব উদ্ভিদের দেহে AtMC3 প্রোটিনের পরিমাণ কম, তাদের ক্ষেত্রে অ্যাবসিসিক অ্যাসিডের কার্যকারিতাও কম। এদিকে ঠিক বিপরীতটা কিন্তু সত্যি। অর্থাৎ প্রোটিনের জোগান বেশি হলে এবিএ হরমোনের সক্রিয়তাও বাড়ে। তাতে পর্যাপ্ত জলের অভাবেও দিব্বি টিকে থাকতে পারে গাছ।
গবেষণাটা হয়েছে স্পেনের সেন্টার ফর রিসার্চ ইন এগ্রিকালচারাল জিনোমিক্স-এ। মুখ্য গবেষক ডঃ ইউজিনিয়া পিটসিলি বলছেন, খরার সম্ভাবনা থাকলে এই প্রোটিনের প্রয়োগ করা যেতে পারে ভবিষ্যতে।